ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে নারাজ সিংহভাগ স্বেচ্ছাসেবক, ফাঁপরে গবেষকরা
ইতিমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা 'কোভ্যাক্সিন'-এর জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দরবার করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। পাশাপাশি ফাইজার-মডার্না বা স্পুটনিক-ভি-এর মত খ্যাতনামা ভ্যাকসিনগুলিও ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে অবস্থা যখন অনুকূল, তারই মাঝে ঘটে গেল বিপত্তি। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন, সেই স্বেচ্ছাসেবকেরাই এখন আবার অমূলক আশঙ্কার বশে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই গবেষক সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা পড়েছেন মহাফাঁপরে!

ভারত বায়োটেকের জরুরি প্রয়োগ ঘিরে সমস্যা
ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন' তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের মধ্য দিয়ের গেলেও স্বেচ্ছাসেবকের অভাবে প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে না বলে জানাচ্ছে আধিকারিকরা। অন্যদিকে ট্রায়ালের অধিকর্তা ওরফে দিল্লি এইমসের কমিউনিটি ওষুধ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সঞ্জয় রাইয়ের মতে, "৫০-৫০ সম্ভাবনার কারণে স্বেচ্ছাসেবকরা ভ্যাকসিন নেওয়ার থেকে সরে আসছেন। তাঁরা ভাবছেন ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে তখন নেবেন, কিন্তু তাঁরা বুঝছেন না যে স্বেচ্ছাসেবক না থাকলে ভ্যাকসিন বাজারজাত করা কখনই সম্ভব হবে না।"

৭০-৮০% মানুষ সরে আসছেন ট্রায়াল থেকে
ট্রায়ালের বিষয়ে বলতে গিয়ে ডঃ সঞ্জয় রাই জানান, "তৃতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের সরে আসার মাত্রা ৭০-৮০%-এ পৌঁছালেও প্রথম ট্রায়ালের ক্ষেত্রে তা ছিল মাত্র ১০%।" তাঁর মতে, প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ১০০টি স্থানের জন্য জমা পড়ে ৪,৫০০ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি স্থানের জন্য ৪,০০০ আবেদনপত্র। যদিও তৃতীয় পর্যায়ে যেখানে দরকার ছিল ২,৫০০ স্বেচ্ছাসেবক, সেখানে মাত্র ২০০-৩০০ জন এগিয়ে আসেন।

জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কৌশল
ভারত বায়োটেকের সূত্রে জানান হয়েছে, ভারতের প্রায় ১৮টি স্থানে প্রায় ২২,০০০ স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে ট্রায়াল চালাচ্ছে তারা। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সাইটগুলিতে বিজ্ঞাপন হোক বা মাইক প্রচার, সকলরূপেই জনগণকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে যাতে স্বেচ্ছাসেবকরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে না যান। ভারত বায়োটেকের এক আধিকারিকের মতে, অন্যান্য ভ্যাকসিন প্ৰস্তুতকারকরা একই লক্ষ্যে এগিয়ে না আসলে আগামীদিনে তারাও একই সমস্যায় পড়বে।

গণ-টিকাকরণের ব্লু-প্রিন্ট তৈরির পথে কেন্দ্র
কোভ্যাক্সিন-এর পাশাপাশি অন্যান্য সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধকের ট্রায়ালও চলছে ভারতে। পুনের জেনোভা বায়োফার্মার ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেয়েছে। পাশাপাশি ভারতে হায়দরাবাদের বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের ভ্যাকসিনের ১/২ পর্যায়ের ট্রায়াল ও স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনে ২/৩ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই টিকাকরণের গাইডলাইনও তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে শীঘ্রই রাজ্যগুলির কাছে সরকারি নোটিশও পাঠানো হবে।
IPS বিতর্কের মাঝেই মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব, সাড়ে ৫টায় হাজিরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের