হরিয়ানা গণধর্ষণকাণ্ডে জড়িত এক ডাক্তার ও প্রপার্টি মালিক! পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত নিশু
অবশেষে খানা তল্লাশিতে মিলল সাফল্য। জালে হরিয়ানার রেওয়ারি-র গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নিশু। এই গণধর্ষণকাণ্ডে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট-এর হাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত।
অবশেষে খানা তল্লাশিতে মিলল সাফল্য। জালে হরিয়ানার রেওয়ারি-র গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নিশু। এই গণধর্ষণকাণ্ডে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট-এর হাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত। তবে তাকে কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে ব্য়াপারে কিছু জানা যায়নি। এখনও আরও ২ অভিযুক্তদের দেশজুড়ে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর এই দুই অভিযুক্ত রাজস্থান ও গুজরাটের দিকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
রেওয়ারি গণধর্ষণকাণ্ডে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খোলাসা হয়েছে অবশ্য রবিবার। জানা গিয়েছে এই গণধর্ষণকাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক। আর অন্যজন এক প্রপার্টি মালিক। সিবিএসই-এর ১৯ বছরের টপার এবং মেধাবী ছাত্রীটিকে এই প্রপার্টি মালিকের একটি বাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। দীনদয়াল নামে ওই প্রপার্টি মালিক নিশু, পঙ্কজ এবং মণীশকে তার বাড়ি দিয়েছিলেন। অন্য ধৃতের নাম সঞ্জীব। তিনি পেশায় চিকিৎসক। ড্রাগ ওভারডোজ এবং গণধর্ষণের জেরে তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আতঙ্কে নিশুরা সঞ্জীবকে ডেকে আনেন। সঞ্জীব সমস্ত ঘটনাটাই জানতেন। কিন্তু তিনি এই নিয়ে বাইরে মুখই খোলেননি। এমনকী রেওয়ারি গণধর্ষণকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরও চুপ করে ছিলেন সঞ্জীব।
গণধর্ষণের জড়িত ৩ অভিযুক্তের মধ্যে নিশু গ্রেফতার হলেও এখনও পলাতক সেনাকর্মী পঙ্কজ এবং মণীশ। এদিকে, গতকাল এই ঘটনা নিয়ে হরিয়ানার ডিজিকে ডেকে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা যায় তা দেখতে বলেন তিনি। রেওয়ারি গণধর্ষণকাণ্ডে স্থানীয় এসপি রাজেশ দুগ্গলের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠেছিল। রবিবার তাঁকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। হিসারে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছেন দুগ্গল।