Air India: অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত
Air India: অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত
অবশেষে গ্রেফতার করা হল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই যাত্রীকে। যিনি সহযাত্রীর গায়ে বিমানের মধ্যেই প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর মিশ্রকে। দিল্লি আদালতে পেশ করা হলে দিল্লির আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই নিরুদ্দেশ ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই যে মার্কিন ব্যাঙ্কে তিনি কাজ করতেন সেই ব্যাঙ্ক তাঁকে বহিষ্কার করেছে। পুলিশ জানিয়েেছ বেঙ্গালুরুর একটি হোমস্টেতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। যদিও তাঁর বাড়ি মুম্বইয়ে।
গ্রেফতার বিমান যাত্রী
এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রস্রাবকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত যাত্রী। শঙ্কর মিশ্র নামে ওই যাত্রীকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুতে একটি হোমস্টেতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেই হোমস্টেতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করে শঙ্কর মিশ্রকে। মুম্বইয়ে বাড়ি এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানযাত্রীর। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তারপরেই বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রস্রাব কাণ্ড
গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে িদল্লি আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেই বিমানের যাত্রী ছিলেন শঙ্কর মিশ্র। বিমানে মদ্যপ অবস্থাতেই বসে ছিলেন তিনি। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর হঠাৎই বিজনেস ক্লাসের এক মহিলা যাত্রীর সিটের সামনে গিয়ে তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন শঙ্কর মিশ্র। এতটাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি যে কিছুতেই মহিলার সিটের সামনে থেকে সরতে চাইছিলেন। না। এই ঘটনার পরেও এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বিমান যাত্রীর বিরুদ্ধে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধু মাত্র ৭০ বছরের বৃদ্ধ মহিলকে পোশাক বদলের জমন্য জামাকাপড় দিয়েছিল তারা। ঘটনার জানাজানি হয় মহিলা যাত্রী টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে পুরো ঘটনা জানান।
ডিজিসিএ-র রিপোর্ট তলব
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় ডিজিসিএ। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে ডিজিসিএ। কেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিসিএ। যদিও অভিযুক্ত যাত্রীকে ৩০ দিনের জন্য নো ফ্লাই তালিকায় রেখে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে গোটা দেশে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।
লুক আউট নোটিস জারি
মুম্বই পুলিশ অভিযুক্ত এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তার বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশিও চালায়। কিন্তু তার কোনও হদিশ পায়নি। তারপরেই দিল্লি পুলিশের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে লুক আউট নোটিস জারি করা হয় বিমানবন্দরে। অর্থাৎ তাঁকে দেখা মাত্র গ্রেফতার করা হবে। অনেক তল্লাশির পরে শেষে শনিবার বেঙ্গালুরুর একটি হোমস্টে থেকে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর মিশ্রকে। একটি মার্কিন ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।