জ্ঞানব্যাপীতে ইস্যুতে কটাক্ষ মহুয়ার, টুইটারে তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা দিল হিন্দুদের একাংশ
জ্ঞানব্যাপীতে ইস্যুতে কটাক্ষ মহুয়ার, টুইটারে তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা দিল হিন্দুদের একাংশ
বারাণসীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই বিষয়টির বিরোধিতা ও সমর্থন দুই'ই হচ্ছে৷ সম্প্রতি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ছবি টুইট করে জ্ঞানব্যাপী ইস্যুতে হিন্দুদের একটি অংশকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ তবে শুধু মহুয়ায় নন সঙ্গেই তৃণমূলের আরও এক সাংসদ জহর সরকার-ও একই বিষয় নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের কটাক্ষ করেছেন। তবে এবার পাল্টা সমালোচনার মুখে পড়তে হল মহুয়াকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা দিল হিন্দুদের একাংশ। মহুয়ার টুইটের রিপ্লাইয়ে কিংবা টুইটটি রিটুইট করে অনেকেই বলেছেন, এভাবেই হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আস্থাকে অপমান করে যান। এর ফলও পাবেন সময় মতো!
ঠিক কী টুইট করেছেন মহুয়া?
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দেশের বিখ্যাত ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, 'আশা করছি খোঁড়াখুঁড়ি তালিকায় ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার নেই।' কিন্তু কেন ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ছবি পোস্ট করে এরকম লিখলেন মহুয়া? সে রহস্যা লুকিয়ে রয়েছে ভাবা সেন্টারের ছবিতেই৷ ভারতের অন্যতম সেরা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারটি বাইরে থেকে দেখতে একটি বড়সড় শিবলিঙ্গের মতো৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন তাই সেটির ছবি পোস্ট করে জ্ঞানব্যাপী ইস্যুতে হিন্দুদের একটি অংশকে কটাক্ষ করলেন মহুয়া!
বারাণসীর পর মথুরাতেও মসজিদে সমীক্ষার দাবি!
প্রসঙ্গত, বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানব্যাপী মসজিদে পাওয়া গিয়েছে শিবলিঙ্গ৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে জ্ঞানব্যাপীতে পাওয়া 'শিবলিঙ্গ'-এর সুরক্ষারর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে পুরো বিষয়৷ কিন্তু কোনওভাবেই মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ এবং জ্ঞানব্যাপী মসজিদে নামাজ পড়ার উপর কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। তারপরই মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমিতে ইদগাহ মসজিদ বন্ধ করে সমীক্ষার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আবেদনকারী। যদিও এই আবেদনে আগে থেকেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট, মথুরা কোর্টে বেশ কিছু আবেদন জমা রয়েছে!
মহুয়া ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ জওহর সরকার এই একই বিষয়ে টুইট করেছেন!
মহুয়া মৈত্র অবশ্য তার তৃণমূলে প্রথম ব্যক্তি নন যিনি ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের কাঠামোকে চলমান বিতর্কে নিয়ে এসেছেন৷ এর আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকার ভাবা সেন্টারের ছবি টুইট করে লিখেছেন, 'ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রকে শীঘ্রই ভক্তরা একটি বিশাল শিব লিঙ্গ হিসাবে ঘোষণা করবে!' মহুয়া মৈত্র, টুইটারে বেশ সক্রিয়, তিনি বিজেপির একজন বড় সমালোচকও। বুধবারেও দিকে, তিনি ভারতের অর্থনীতিকে উপহাস করে একটি টুইট করেছিলেন যেখানে তিনি ইঙ্গিত করেন যে ভারতের অর্থনীতি ক্রমশ খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে, আর সরকার কেবল এখানে ওখানে খোঁড়াখুঁড়ি করছে।
মহুয়াকে পাল্টা কী বলল হিন্দুদের একাংশ?
মহুয়ার টুইটটি রিটুইট করে পদ্মজা নামের একটি হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ' হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া এই ছবি ও তথ্য টুইটারে পোস্ট করে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবছেন। আসলে এটি আপনার লো আইকিউর পরিচয়। হিন্দুধর্মের পবিত্র জিনিসগুলি নিয়ে মস্করা এবং এই পরিমান ঘৃণা আপনার শরীর ও রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য ক্ষতিকর!' এরকমই আরও কিছু কড়া রিপ্লাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন মহুয়া৷
সিবিআই শুনানির বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন! গাড়ি বদল করে রাতেই অজ্ঞাতবাসে পার্থ