
আমার কাছে মা কালী মাংস খান, সুরাও গ্রহণ করেন! পোস্টার বিতর্কে মন্তব্য মহুয়া'র
ডকুমেন্ট্রি ফিল্ম 'কালী'র পোস্টারকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। আর সেখানেই পোস্টার নিয়ে চলা বিতর্কে মুখ খোলেন।
বলেন, কালীর অনেক রূপ। তবে আমার কাছে কালীর মানে যিনি মাংস ভক্ষণ এবং সুরা গ্রহণ করেন। তবে এই বিষয়ে মানুষের আলাদা মতভেদ থাকতেই পারে। তবে সে বিষয়ে আমি চিন্তিত নই বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ইতিমধ্যে একাধিক তরফ থেকে এহেন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে শাসক তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে
এদিন অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্র বলেন, নিজের ভগবানকে তুমি কীভাবে দেখতে চাও তা কল্পনা করার অধিকার রয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাংসদের দাবি, ভুটান এহং সিকিমে গেলে দেখা যাবে সেখানে সকালে পুজোতে ভগবানকে হুইস্কি দেওয়া হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের কোথাও এমন প্রসাদে দিলে তার অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। তবে আমার কাছে কালী একজন মাংস খান এমন দেবী। শুধু তাই নয়, সুরা পান করছেন এমন দেবীও বটে।

আমার স্বাধীনতা রয়েছে...!
মহুয়া বলেন, যদি আপনি তারাপীঠের যাবেন সেখানে মা কালীর মন্দিরের পাসে সাধুদের ধোঁয়া খেতে দেখা যায়। হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও আমার কালীকে আমার মতে দেখার স্বাধীনতা আছে বলে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের। আপনার নিজের উপায়ে আপনার ঈশ্বরের উপাসনা করার স্বাধীনতা থাকা উচিত বলেও এদিন মন্তব্য তাঁর। যতক্ষণ না আমি অন্য কারোর জায়গাতে হস্তক্ষেপ করছি, পুজা'র অধিকার ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকা উচিৎ বলেও দাবি সাংসদের। তবে মা কালীর এহেন রূপ নিয়ে যে বিতর্ক হছে তাতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলেও দাবি তৃণমূল নেত্রীর।

কালী'র পোস্টার নিয়ে জাবতীয় বিতর্ক-
সম্প্রতি মা কালীর একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়াতে খুবই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, পোস্টারের কালীর একটি হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা যাচ্ছে। এই ডকুমেন্টারিটি তৈরি করেছেন লীনা মণিমেকলাইয়ের। তবে এই পস্টার সামনে আসার পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। পোস্টারটির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে নির্মাতাকে গ্রেফতারের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে সমালোচনা'র ঝড়।