কঠিন সম্পর্ক ছিল, নেতাজিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না বুঝেছিলেন মহাত্মা! দাবি নেতাজি কন্যা পাফের
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে একটা কঠিন সম্পর্ক ছিল মহাত্মা গান্ধীর। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অমিত বোস পাফ। সম্পর্কে তিনি নেতাজির মেয়ে হন। সম্প্রতি নেতাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর সম
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে একটা কঠিন সম্পর্ক ছিল মহাত্মা গান্ধীর। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অমিত বোস পাফ। সম্পর্কে তিনি নেতাজির মেয়ে হন। সম্প্রতি নেতাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত।
তিনি বলেন, গান্ধী এবং জওহরলাল নেহেরু নেতাজিকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। আর সেই প্রসঙ্গেই এদিন অনিতা বোস পাফ মুখ খোলেন।
ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গান্ধী সবসময় মনে করতেন যে নেতাজিকে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়, কিন্তু নেতাজি গান্ধীকে মেনে চলতেন বলেই দাবি বোস পাফের। এখানেই শেষ নয়, ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিতা আরও বলেন, দুজনেই অর্থাৎ গান্ধী এবং নেতাজি দুজনেই হিরো।
দেশের স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করেছেন তাঁরা। কখনই একার লড়াইয়ে কিছু ঘটেনি, সমবেত লড়াইয়ের ফসলে দেশে স্বাধীনতা এসেছে বলেও দাবি তাঁর। তবে এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনিতা পাফ।
কার্যত কিছুটা আক্ষেপের সুরেই এদিন তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের নেতারা বলে আসছেন যে অহিংস আন্দোলনের কারনেই দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তবে তা ঠিক নয় বলেই দাবি নেতাজি কন্যার। তাঁর মতে, দেশের স্বাধীনতার জন্যে নেতাজি এবং তাঁর সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব কখনই ভুলে যাওয়ার নয়।
শুধুমাত্র অহিংস নীতিই জোরেই ভারতের স্বাধীনতা এসেছে, একাংশের কংগ্রেস সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে যেমনটা দাবি করে থাকেন, সেটা ঠিক নয় বলেও জানান অনিতা। তিনি বলেন, সকলেই জানেন নেতাজি এবং আইএনএ-এর পদক্ষেপগুলিরও ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে অবদান ছিল।
অন্যদিকে আবার অনেকেই দেশের স্বাধীনতা আনার জন্যে নেতাজি এবং আইএনএ'র যে কথা বলেন তাও ঠিক নয় বলে মনে করেন। তাঁর মতে, গান্ধীজি অনেককেই দেশের স্বাধীনতার আনার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এমনকি নেতাজি তাতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে মত অনিতা পাফের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দাবি করেন, সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগৎ সিং, মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে কোনও সমর্থন পাননি। গান্ধীর অহিংসার মন্ত্রকে উপহাস করে তিনি বলেন, অন্য গাল বাড়িয়ে দিলে আপনি ভিক্ষা পাবেন, স্বাধীনতা নয়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন।
শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দাবি করেন ১৯৪৭ নয়, আসল স্বাধীনতা আসে নাকি ২০১৪ সালে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। আর সেই বিতর্ক হতেই মুখ খুললেন খোদ নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ।