মহারাষ্ট্র থেকে অসম, বকরিদের আগে সর্বত্র গো-হত্যায় কড়া নিষেধাজ্ঞা
তাঁদের চিন্তাভাবনা কী হতে চলেছে শপথ নেবার আগেই বুঝিয়ে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নার্ভেকার রাজ্যের ডিজিপি রজনীশ শেঠকে চিঠি লিখেছেন, ১০ জুলাই, বকরিদের দিনে গো হত্যা যাতে না করা হয় তার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে স্পিকার হিসাবে চেয়ারে বসেছেন বিজেপি বিধায়ক রাহুল নার্ভেকার। একজন স্পিকার খাতায় কমলে সবসময় নিরপেক্ষ থাকার কথা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। এখানেও তা হল।রাহুল নার্ভেকার বুঝিয়ে দিলেন আগামী দিনে মহারাষ্ট্র কোন পথে চলবে। ঠিক বকরিদের আগের দিন তাই তিনি পুলিশকে বলে দিলেন খোঁজ রাখতে যেন গো-হত্যা না হয়।
কর্নাটকেও একই আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটকের পশুপালন মন্ত্রী প্রভু বি চৌহান বকরিদ উৎসবের জন্য গবাদি পশু বলি না দেওয়ার জন্য কাছে আবেদন করেছেন। যারা এমন করবে তাঁদের অপরাধী বলে গণ্য করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেছেনন যে গোহত্যা নিষেধাজ্ঞা আইন ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে কার্যকর হয়েছে। তিনি পশুপালন দপ্তর এবং পুলিশ দফতরের আধিকারিকদের রাজ্যের বাইরে / থেকে গরু এবং গরুর মাংসের বেআইনি চলাচলের উপর নজর রাখতে এবং গোহত্যা প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাধারণত, বকরিদ উৎসবের সময় কোরবানির একটি ঐতিহ্য রয়েছে, যার জন্য গরু, বলদ, বাছুর এবং উটের মতো গবাদি পশুও ব্যবহার করা হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে গোহত্যা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে বলে পুলিশ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসকদের ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে কোনও কারণে গরু জবাই করা না হয়।
তিনি আরও বলেছেন, "রাজ্যের সমস্ত সীমান্ত এলাকায় পশুপালন দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশ বিভাগের আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে গোহত্যা নিষিদ্ধ আইন লঙ্ঘন যেন না হয়। যদি গোহত্যার পাওয়া যায়, অবিলম্বে স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" মন্ত্রী জনসাধারণের কাছে গোহত্যা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২০ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যাতে বকরিদ উপলক্ষে গোহত্যা প্রতিরোধ করা হয় তাই বেঙ্গালুরুতে একটি টাস্ক ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে।
অসম সরকার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে গরু/বাছুর, উট এবং অন্যান্য পশুদের বেআইনি হত্যা/বলিদান বন্ধ করার জন্য এবং NSE-এর পরিবহন লঙ্ঘনের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভারতের পশু কল্যাণ বোর্ডের এসওপি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।