মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ঠেকাতে আসন ভাগাভাগি করে নিল কংগ্রেস-এনসিপি
মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল কংগ্রেস ও এনসিপি।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের একটাই লক্ষ্য, তা হল বিজেপি তথা এনডিএ-কে সরকার আসা থেকে আটকানো। সেই সূত্রেই মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল কংগ্রেস ও এনসিপি। কংগ্রেস ২৪টি ও এনসিপি ২৩টি আসনে লড়বে বলে জানা গিয়েছে। একটি আসন দেওয়া হয়েছে স্বভিমানী শ্বেতকারী সংগঠনকে।
দুই দলের সিনিয়র নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই দলের সিনিয়র নেতারা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখে-পাটিলের সঙ্গে বাসভবনে বৈঠকে বসেন। সেখানে অশোক চৌহান, পৃথ্বীরাজ চৌহান ও শরদ রনপিসে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষে। এনসিপি-র তরফে জয়ন্ত পাটিল, অজিত পাওয়ার, দিলীপ পাতিল, সুনীল ততকারেরা উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'অ্যানাকোন্ডা সাপ' বলে আক্রমণ অন্ধ্রের মন্ত্রীর]
স্বভিমানী শ্বেতকারী সংগঠনের তরফে সাংসদ রাজু শেট্টি নির্বাচনে লড়বেন। গত নির্বাচনে তিনি এনডিএ-র পক্ষে লড়েছিলেন। তবে গত অগাস্টে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারপরই এখন কংগ্রেস-এনসিপি-র জোটে নাম লিখিয়েছেন।
[আরও পডুন: রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় খোদ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার]
এছাড়া বহুজন বিকাশ অগহদি দল এই জোটে যুক্ত হলে পুনের একটি আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে কোন দল আসন ছাড়বে তা স্পষ্ট নয়। ঘটনা হল, এনসিপি কংগ্রেসের সুক্ষ্ম বিরোধও রয়েছে। এনসিপির একটি অংশের দাবি, তাদের আরও বেশি আসন প্রাপ্য ছিল। কারণ ২০১৪ সালের ভোটে তাঁরা ২২টি আসনে লড়ে ৫টিতে জিতেছিল। কংগ্রেস ২৬টিতে লড়ে মাত্র ২টি আসন পেয়েছে।