স্কুলের সম্মান বাঁচাতে ধর্ষিতা ছাত্রীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ স্কুল কর্তৃপক্ষের
স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সম্মান বজায় রাখতে যে অমানবিক আচরণ করল নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলা জলকষ্টে ভুগে প্রতিবছর গরমের সময়ে খবরের শিরোনামে আসে। তবে এবার খবরে এল অন্য কারণে। এখানকার একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সম্মান বজায় রাখতে যে অমানবিক আচরণ করল নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
সম্মান বাঁচাতে নিগৃহীতা মেয়েটিকেই স্কুল থেকে তাড়ানো হল। ধর্ষিতা জানিয়েছে, আমাকে স্কুল থেকে তাড়ানো হয়েছে। আমি সেখানে পড়লে স্কুলের সম্মান নষ্ট হবে, এমনটাই বলা হয়েছে। মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।
শুধু স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন, পুলিশও কম নির্যাতন করেনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে লাতুরের পুলিশ সুপার শিবাজী রাঠৌরের কাছে খবর পৌঁছলে তারপরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকেরা। যার ফলে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৩৭৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।