শিবসেনার বিদ্রোহীদের বিশেষ নিরাপত্তা, কী ঘোষণা করল মোদী সরকার
শিবসেনার বিদ্রোহীদের বিশেষ নিরাপত্তা, কী ঘোষণা করল মোদী সরকার
চমকে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটাল মোদী সরকার। মহারাষ্ট্রে ১৫ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। আর তাতেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈকিত সংকটে বিজেপির যোগ আরও স্পষ্ট হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল টানা পোড়েন চলছে মহারাষ্ট্রে। বারবার শিবসেনার পক্ষ থেকে বিজেপিকে নিশানা করা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। কিন্তু শিবসেনার দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।
বিদ্রোহীদের বিশেষ নিরাপত্তা কেন্দ্রের
এখনও অসমে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। মহারাষ্ট্রে পা রাখার সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতির মধ্যে সকলকে চমকে দিয়েই বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের জন্য বিশেষ ঘোষণা করল কেন্দ্র। গুয়াহাটিতে থাকা ১৫ জন শিবসেনা বিদ্রোহী বিধায়ককে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তাতেই আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির নেপথ্যে কারা রয়েছে। ধীরে ধীরে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়তে শুরু করেছে।
নিরাপত্তা সংকট
গতকাল থেকেই গুয়াহাটিতে শিন্ডের সঙ্গে ক্যাম্প করে থাকা বিদ্রোহী বিধায়করা নিরাপত্তা নিেয় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। মহারাষ্ট্র সরকার তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিন্ডে। তিনি অভিযোগ করেছেন বিদ্রোহ করার তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে তাঁদের পরিবারের উপরে হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিদ্রোহী শিন্ডে। তাই নিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে ডিজিপি সকলকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
পাল্টা নিশানা বিজেপির
শিবসেনার পক্ষ থেকে পাল্টা বিদ্রোহীদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেছিলেন, বিধায়কদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু তাদের পরিবারের নিরপত্তার দায়িত্ব সরকার নেবে না। এদিকে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে যে ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। একের পর এক আগ্রাসী বার্তা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহী বিধায়কদের তাঁর বালাসাহেবের নাম করে ভোট চাওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে।
বিজেপির মদত
শিবসেনার আগাড়ি সরকার পতনের চক্রান্তের নেপথ্যে যে বিজেপি রয়েছে। তা আরও স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। শিবসেনা বিদ্রোহী বিধায়কদের নিরাপদে মহারাষ্ট্র থেকে প্রথমে সুরাট এবং তার পরে অসমে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিন বিজেপি বিধায়ক। তাঁরাই সন্তর্পণে তাঁদের উদ্ধবের নাগাল থেকে বের করে এনেছিলেন। যদি বারবার বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শিবসেনার সরকার ভাঙার নেপথ্যে তাঁদের কোনও হাত নেই। শিবসেনার অন্দরের বিদ্রোহেই এই ঘটনা ঘটছে।
তৃণমূল 'ভো-কাট্টা’ উপনির্বাচনে, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসেই ভরসা ত্রিপুরাবাসীর