মধ্যরাতের সময়সীমার আগেই পদত্যাগ ফড়নবিশের, মহারাষ্ট্র কী তবে রাষ্ট্রপতি শাসনের পথে?
আজ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এরই সঙ্গে তাঁর মন্ত্রীসভাও ভেঙে দিলেন ফড়নবিশ।
আজ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এরই সঙ্গে তাঁর মন্ত্রীসভাও ভেঙে দিলেন ফড়নবিশ। পাশাপাশি আরও ঘোলাটে হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
মধ্যরাতের সময়সীমা
্রসঙ্গত ফড়নবিশের সরকারের মেয়াদ আজ মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল। সেই সময়সীমার অনেক আগেই পদত্যাগ করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এবার আজ মধ্যরাতের মধ্যে সেনা বিদেপি মধ্যস্থতা যদি না হয় এবং আগামীকালকের মধ্য যদি সরকারর গঠনের আবেদন কেউ না জানায় তখন রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া আর উপায় থাকবে না রাজ্যে।
রাষ্ট্রপতি শাসনের ভবিষ্যদ্বাণী
২ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার দাবি করেছিলেন যে, ৭ নভেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল সরকার গঠন সম্ভব না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে। তবে কী সেই পথে এগোচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ? বিশেষজ্ঞদের মত, যেভাবে বিজেপি-সেনা দুই শিবিরই তাদের দাবিতে অনড় তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই।
সেনার মান ভাঙাতে ময়দানে গড়কড়ি
সময়সীমার আগে শিবসেনার মান ভাঙাতে ময়দানে নামানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে। তবে সেনা কথা বলার আগেও তাদের অনড় অবস্থআন স্পষ্ট করে দেয়। এদিকে গড়কড়িও বলেন, "মধ্যস্থতায় রাজি আছি। কিন্তু সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।"
শনিবার দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল
৯ নভেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে কোনও রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের দাবি না জানালে রাজ্যপাল নিজে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে চরম উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। বিজেপি উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে শিবসেনা। এদিকে শিবসেনার অন্দরেই ভাঙন তৈরি করছে বিজেপি।