পালঘরের হিংসাকে 'সাম্প্রদায়িক' তকমা দিতে নারাজ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের পালঘরে ঘটে যাওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিরুদ্ধে বসতে চলেছে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। রবিবার এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিন ব্যক্তি যাঁদের মধ্যে দু'জন সন্ন্যাসী।

বৃহস্পতিবার কি ঘটেছিল মহারাষ্ট্রের পালঘরে ?
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইয়ের কান্দিভালি থেকে একটি গাড়িতে গুজরাটের সুরাটে যাচ্ছিলেন আক্রান্ত তিন ব্যক্তি। তখনই আচমকা আততায়ীরা মহারাষ্ট্রে পালঘরের কাছে গাড়িটির পথ আটকায়। এরপর যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে চোর ও অপহরণকারী সন্দেহে ব্যাপক মারধর শুরু করে। বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে অনেক গ্রামবাসীই পুলিশের উপর পাল্টা চড়াও হয়। ঘটনায় এক পুলিশকর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে না দেখার অনুরোধ দেশমুখের
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, "ঘটনার সঙ্গে প্রায় ১০১ জন সুরাটের বাসিন্দা জড়িত রয়েছেন। গনধোলাইের মাধ্যমে তিনজনকে হত্যা ও হিংসা ছড়ানোর দায়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।" যদিও গোটা ঘটনায় জোর করে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর সতর্ক করে তিনি আরও জানান যে, উক্ত ঘটনার তদন্তে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত হবে এবং যদি কেউ এই ঘটনার উপর সাম্প্রদায়িক রঙ লাগাতে চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধ্বব ঠাকরের কি বক্তব্য?
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধ্বব ঠাকরে প্রকাশ্যেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, "এই ঘটনায় আততায়ীদের দ্বারা দুই সাধু, একজন ড্রাইভার ও একজন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ঘটনায় তিনজনকে মেরে ফেলার পরেও আততায়ীরা একটুও লজ্জিত নয়। ফলে আমি চাই তাদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা হোক।"
করোনায় ৪ রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ বলে উল্লেখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা