শাহরুখ পুত্রের মাদক মামলার সাক্ষীর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
শাহরুখ পুত্রের মাদক মামলার সাক্ষীর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আরিয়ান খান মাদক কাণ্ডের সাক্ষী প্রভাকর শৈল। মৃত্যু স্বাভাবিক নয় দাবি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। স্বরাষ্ট্র দফতরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এনসিবিবির অন্যতম সাক্ষী ছিলেন প্রভাকর শৈল। তিনি মুম্বইয়ের চেম্বুরে নিজের ভাড়া বাড়িতে শুক্রবার রাতে মারা যান। ঘাটকোপরে সরকারি হাসপাতাল রাজাওয়াড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
এনসিবির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন শৈল। সেকারণে এই মৃত্যুকে সাদামাটা ভাবে নিতে নারাজ প্রভাকর শৈল। শনিবার সকালে তাঁর আইনজীবী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। পরিবারের কেই এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কোনও রকম রহস্য রয়েছে বলে দাবি করেনি। তবে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন কীভাবে এনসিবির একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এভাবে হঠাৎ করে মারা যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে তদন্ত করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ডিজিপি এই ঘটনার তদন্ত করবেন। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাটিল জানিয়েছেন একজন সুস্থ-স্বাভাবিক লোকের কিভাবে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রভাকর শৈল এনসিবির আরেক সাক্ষী কেপি গোসাভির দেহরক্ষী ছিলেন। এই গোসাভিকে আরিয়ান খানের গ্রেফতারির সময় একেবারে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল। ভুয়ো এনসিবি অফিসার সেজে আরিয়ান খানের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন তিনি। এমনকী আরিয়ান খানকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছিল। তারপরেই গোসাভিকে গ্রেফতার করে এনসিবি।
গোসাভি হঠাৎ করে কেন আরিয়ান খানের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রভাকর শৈল দাবি করেছিলেন আরিয়ান খানের মুক্তির জন্য ২৫ কোটি টাকা এনসিবি দাবি করেছে এমন কথা বলতে শুনেছিলেন গোসাভিকে। তারপরেই বিতর্ক চরমে উঠেছিল। যদিও এনসিবি গোসাভির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছিল। এই ঘটনার তদন্তে এনসিবি আধিকারী সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। নবাব মালিক দাবি করেছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে ইচ্ছে করে আরিয়ান খানের জামিন হতে দিচ্ছেন না। এমনকী সমীর ওয়াংখেড়ে ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। নবাব মালিক দাবি করেছিলেন মুসলিম সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর বিয়ের নিকাহ নামা সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশ করেছিলেন তিনি। তাই নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। তারপরেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে এনসিবি।