বিজেপির চাপেই কৃষি আইনের সমর্থনে টুইট সচিন-লতাদের? তদন্তে নামল সরকার
কৃষক আন্দোলন নিয়ে উত্তাল দিল্লি সহ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই 'বিদেশি হস্তক্ষেপ' নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েই একের পর এক টুইট করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেসকর সহ একাধিক বলিউড তারকা। তবে এই সব টুইট কোনও চাপের মুখে করা হয়েছিল কী না, তা নিয়ে তদন্তে নামতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
বিজেপির চাপে ওই ধরনের টুইট করেছেন তারকারা?
কেন্দ্রের পক্ষে করা বলিউড তারকাদের টুইট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, একই সময়ে একাধিক তারকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করেছেন বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়াতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতের সেলিব্রিটিরা কি বিজেপির চাপে ওই ধরনের টুইট করেছেন?
তদন্তের দাবি তোলে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস
সম্প্রতি মার্কিন পপ স্টার রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও আরও কয়েকজন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেন। তার পাল্টা টুইট করেন কয়েকজন ভারতীয় সেলিব্রিটি। এই প্রেক্ষিতে তদন্তের দাবি তোলে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। এই দাবির প্রেক্ষিতেই সরকারের এই তদন্তের নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রত্যেক সেলিব্রিটির লেখার কাঠামো এক
এই ইস্যুতে কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রত্যেক সেলিব্রিটির লেখার কাঠামো এক। তাঁরা প্রায় সকলেই 'অ্যামিকেবল' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহাওয়াল হুবহু একই টুইট করেছেন। অভিনেতা সুনীল শেঠি এক বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করেছেন। প্রত্যেকেরই নিজের মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তদন্ত করে দেখতে হবে, সরকার সেলিব্রিটিদের চাপ দিয়ে ওই টুইট করতে বাধ্য করেছে কিনা।
কী বলছেন কংগ্রেস নেতারা?
এদিন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র সচিন সাওয়ান্ত-সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হন৷ সেখানেও এই ঘটনায় তদন্তের দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতারা৷ প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত হোম আইসোলেশনে আছেন অনিল দেশমুখ৷