যৌন নির্যাতন ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মহারাষ্ট্র সরকারের! মন্ত্রিসভায় পাশ শক্তি আইন
শ্লীলতাহানি হোক ধর্ষণ, নারী নির্যাতনে বরাবরই গোটা বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশকেই টেক্কা দেয় ভারত। এমনকী ২০১২ সালের দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর চলতি বছরেই উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর ফের শিউরে ওঠে গোটা দেশ। এমতাবস্থায় নারীদের উপর যৌন নিপীড়ন ঠেকাতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার।

মিলেছে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
সূত্রের খবর, নারী নির্যাতন ঠেকাতে মহারাষ্ট্রে শীঘ্রই আসছে নতুন শক্তি আইন। বুধবারই মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভা এই বিষয়ক খসড়া বিল-কে অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকী এরপরই শীঘ্রই তা বিধানসভাতেো পেশ করা হবে বলে খবর। গত বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর একথা জানান মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।

ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড
অন্যদিকে এই আইনে বলে ধর্ষণের মতো মামলায় কোনো অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও, শ্লীলতাহানি সহ অন্যান্য যৌন নির্যাতনের অপরাধে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মোটা টাকা জরিমানা সহ অন্যান্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকছে বলে খবর। রাজ্যজুড়ে মহিলা ও কন্যা শিশুদের উপর যৌন হেনস্থার ঘটনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেই বর্তমানে উদ্ধব প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রেও থাকছে কড়া বিধান
অন্যদিকে অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও কড়া শাস্তির বিধান থাকছে নয়া আইনে। জেলের পাশাপাশি আসামীকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে আদালত। সেই টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ তুলে দেওয়া হবে নির্যাতিতার হাতে। এমনকী এই আইনের আওতায় প্লাস্টিক সার্জারি ও মুখের পুনর্গঠনের জন্য সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তার কথাও বলা হয়েছে।

শীঘ্রই বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে 'শক্তি আইন' বিষয়ক বিল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে দুদিনের জন্য শীতকালের অধিবেশন বসছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। সেখানেই এই খসড়া বিলটি পেশ করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পরবর্তীতে বিধানসভা ও বিধান পরিষদের সবুজ সংকেত মিললে তা স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। তারই তা আইনে পরিণত হবে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিমধ্যেই বাহবা দিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। পাশাপাশি এই নয়া আইন আগামীর নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেই মত সমাজতাত্ত্বিকদের।

হাড়োয়ার বঙ্গধ্বনী যাত্রায় বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম