কাশ্মীরে পর্যটনের জন্য জমি কিনবে ফড়নবীশের মহারাষ্ট্র সরকার
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন একাধিক শিল্পপতি। তবে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলো।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন একাধিক শিল্পপতি। তবে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলো। কাশ্মীরে পর্যটনের জন্য জমি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
কাশ্মীর গেস্ট হাউস তৈরি করবে ফড়নবীশ সরকার
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন মহারাষ্ট্র। তাই কাজ আর চমক দেওয়ার তৎপরতা যে বেশি হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেটারই বোধ নয় শুরুটা হয়ে গেল এই প্রস্তাবে। কাশ্মীরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গেস্ট হাউস তৈরি করবে মহারাষ্ট্র সরকার। তার জন্য উপত্যকায় জমি কিনবে তারা। মহারাষ্ট্র পর্যটন দফতর সেই জমিতে দুিট গেস্ট হাউস বানাবে। একটি তৈরি হবে পেহেলগাঁওয়ে, আরেকটি লাদাখের লে-তে। বৈষ্ণোদেবী এবং অমরনাথ যাত্রার ক্ষেত্রে পর্যটকদের সুবিধার্থেই গেস্টহাউস দুটি তৈরি করা হবে বলে জানিেয়ছেন মুখ্যমন্ত্রী েদবেন্দ্র ফড়নবীশ।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি টাকা
কাশ্মীর ও লাদাখে যে দুটি গেস্ট হাউস তৈরি করা হবে তার এক একটির জন্য খরচ করা হবে এক কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ২ কোটি টাকা খরচ হবে। ১৫ দিনের মধ্যে পছন্দসই জমি বাছাইয়ের নির্দেশ িদয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী জয়কুমার রাওয়াল জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখনও জমি খুঁজে পাওয়া যায়নি। শ্রীনগর অথবা বিমানবন্দরের কাছে পিঠে জমি খোঁজা হচ্ছে। আর লে-তে তৈরি হবে মাউন্টেন রিসর্ট। মন্ত্রীর দাবি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা পাহাড়ে চড়তে ভালবাসেন সেকথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি জমিও তাঁরা কিনতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন। সেজন্য জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালকে তিনি চিঠি লিখেছেন।
কাশ্মীরে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে
৩৭০ ধারাই ছিল প্রতিবন্ধকতা। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন একাধিক নেতা মন্ত্রী। মোদী নিজেও বলেছেন এবার কাশ্মীরের উন্নয়ন কেউ আটকাতে পারবে না। এতোদিন ৩৭০ ধারার কারণে থমকে ছিল উন্নয়ন। মোদী সরকারের সিদ্ধন্তের পরেই কাশ্মীরে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন শিল্পপতিরা। সম্ভবত চলতি বছরেই কাশ্মীরে বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন মোদী সরকার।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের লাগাতার হুঁশিয়ারিতে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি কাশ্মীরের পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। স্কুল কলেজ খোলা। দোকান বাজারও স্বাভাবিক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ, মেদিনীপুরে ফের নয়া পুরসভা দখলের পথে গেরুয়া শিবির]
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের 'ইউ-টার্ন'! পারমানবিক অস্ত্র প্রয়োগে ইমরানের মন্তব্যকে থোড়াই কেয়ার]