এখনই না হলেও সম্ভাবনা উজ্জ্বল, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে অঙ্ক কষছে বিজেপি
শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) সরকার মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং এক ডজনেরও বেশি এমএলএ পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে মহারাষ্ট্রে মহাসংকটের মুখোমুখি উদ্ধব সরকার। এর জন্য এমনিতেই ইঙ্গিত মিলছিল তবে কী সেখানে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারে। অঙ্ক সেই ইঙ্গিত দিচ্ছেনই। পাশাপাশি বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা চন্দ্রকান্ত পাতিলও বলছেন তারা সরকার গঠনের বিষয়ে ভাবছেন।
অঙ্ক কী বলছে ?
২৮৮-সদস্যের
মহারাষ্ট্রের
হাউসে
বিজেপির
১০৬
জন
বিধায়ক
রয়েছে
এবং
তার
মিত্রদের
রয়েছে
আটজন।
বিধানসভায়
একটি
আসন
খালি
থাকা
সত্ত্বেও
১১৪
জন
বিধায়ক
সহ
রয়েছে
বিজেপি'র।
এখনও
পর্যন্ত
ম্যাজিক
ফিগার
তার
১৪৪-এর
পৌঁছতে
গেলে
তাঁদের
৩০
জন
বিধায়ক
লাগবে।
সেদিক
থেকে
এখনই
যে
তারা
সরকার
গঠন
করে
ফেলবে
তা
নয়
কিন্তু
একটা
বড়
সম্ভাবনা
তৈরি
হয়েছে
তা
বলা
যেতেই
পারে।
কেমন ছিল ঘটনাক্রম ?
সোমবার রাজ্য বিধান পরিষদের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর শিন্দের নেতৃত্বাধীন বিধায়করা গুজরাটের সুরাতে চলে যাওয়ার পর থেকে এমভিএ সরকারে দোলাচল শুরু হয়। শিবসেনার দুই প্রার্থী ৫২ ভোট পেয়েছিলেন যদিও দলটি ৬৪ টি আশা করেছিল, যার মধ্যে ৫৫ টি নিজস্ব এবং স্বতন্ত্র এবং ছোট দলগুলির অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেখা যায় যে ৬৪ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১২ জন ক্রস ভোট দিয়েছেন। সেই শুরু সমস্যার।
জোটের সংখ্যা কোথায় ?
ক্ষমতাসীন
জোটের
শরিক
শিবসেনা,
জাতীয়তাবাদী
কংগ্রেস
পার্টি
(এনসিপি)
এবং
কংগ্রেস
রাজ্য
বিধানসভায়
২০১৯
সালের
আস্থা
ভোটে
১৬৯
ভোট
পায়।
সোমবার
কাউন্সিল
নির্বাচনে
তিনটি
দলই
মিলে
পায়
১৫০টি
ভোট।
পাশাপাশি
অল
ইন্ডিয়া
মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল
মুসলিমীনের
(এআইএমআইএম)
দুটি
আসন
রয়েছে
এবং
ভারতের
কমিউনিস্ট
পার্টি
(মার্কসবাদী),
মহারাষ্ট্র
নবনির্মাণ
সেনা
এবং
স্বাভিমানি
পক্ষের
একটি
করে
আসন
রয়েছে।
এআইএমআইএম
এই
মাসে
রাজ্যসভা
নির্বাচনে
ক্ষমতাসীন
জোটকে
সমর্থন
করেছিল।
বিজেপি কী বলছে ?
বিজেপি নেতা সুধীর মুনগান্টিওয়ার অস্বীকার করেছেন যে শিন্দে তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন, কিন্তু এটা বলেছেন যে তারা পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে দেখছেন। "মহারাষ্ট্রের স্বার্থে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। এটা একদিন না একদিন ঘটতই কারণ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে অক্টোবর ২০১৯ সালে দেওয়া জনগণের দেওয়া ভোটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমরা তাদের এই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করেছিলাম, কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।"
চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেছেন যে, "সেনার মধ্যে যা ঘটছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমরা এটি নিয়ে কথা বলতে চাই না। সেনা বিধায়করা তাদের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতে পারে না , তাতে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। শিন্দের গুজরাটে কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী থাকতে পারে এবং তিনি তাদের সাহায্য নিয়ে থাকতে পারেন। আমি জানি না আমাদের গুজরাট রাজ্যের প্রধান এমন একজন শুভাকাঙ্ক্ষী কিনা।'
সংবিধান বিরোধী হলে আচার্য বিল গ্রহণ নয়! সংঘাত বাড়িয়ে নবান্নকে বার্তা রাজ্যপালের