মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা শুক্রবার! কী সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস?
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জোলঘোলার মধ্যেই আজ দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক বসে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জোলঘোলার মধ্যেই আজ দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক বসে। এর আগে বুধবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল যে মহারাষ্ট্রে স্থিতিশীল সরকার গঠনের বিষয়ে তারা বদ্ধপরিকর। সেই মর্মেই আজ কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির বৈঠক বসে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির বাড়িতে। আর বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়ে দিলেন, খুব সম্ভবত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের বিষয়ে মুম্বইতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কংগ্রেসের কার্ষকী সসমিতির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কার্ষকী সসমিতিতে আজ মোটামুটি সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে সরকারের গঠনের বিষয়ে প্রায় অকমত হয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে শুক্রবার মুম্বইতে এনসিপির সঙ্গে বেঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হতে পারে শুক্রবার
অবশ্য শুক্রবার মুম্বইতে কংগ্রেস-এনসিপি বৈঠকের আগে আজ, বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবার সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হতে পারে। এর আগে বুধবার দুই দলের বৈঠকের পর কংগ্রেস জানিয়েছিল যে জোট গঠনের বিষয়ে আরও কিছু বিষয় এখনও আলোচনা করা বাকি রয়েছে। কংগ্রেসের তরফে এই কথা জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান। তার সঙ্গে সেই উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক।
সরকার গঠন প্রসঙ্গে এনসিপির বক্তব্য
এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেন, "মহারাষ্ট্রে শাবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি ছাড়া কোনও সরকার গঠন সম্ভব নয়। আমরা তাই নিজেদের মধ্যে থাকা সব মতবিরোধ মেটানের চেষ্টা চলছে।" তিনটি দলই একটি নূন্যতম অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে ক্ষমতা ভাগাভাগির শর্তগুলিতে এখনও একমত হয়নি তাঁরা। এরই মাঝে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে তরজা শুরি হয়েছে সেনা ও এনসিপির মধ্যে।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে তরজা
সূত্রের খবর, তিন দলের জোট সরকারে পুরো পাঁচ বছরের জন্য শিবসেনা তাদের দলের মুখ্যমন্ত্রী চাইছে। সেই ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও শিবসেনাকে একটি করে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি সেনা। মন্ত্রিসভায় শিবসেনার ১৬জন, এনসিপির ১৪জন ও কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রী থাকবেন। তবে পরিস্থিতি বুঝে শরদ পাওয়ার নেমেছেন ক্ষমতার খেলায়। তিনি এখন আর্ধেক সময়ের জন্য এনসিপির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেছেন। সেই ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ বছর সেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিতে পারে এনসিপি। তবে এই ফর্মুলাতে রাজি হচ্ছেন না সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল! তাঁকে ডিল করতে কোন উপায় নেওয়া উচিত, দিলেন উপদেশ