‘দহি হান্ডি’কে সরকারি খেলা ঘোষণা মহারাষ্ট্র সরকারের, চাকরি, বিমা পাবেন গোবিন্দরা
‘দহি হান্ডি’কে সরকারি খেলা ঘোষণা মহারাষ্ট্র সরকারের, চাকরি, বিমা পাবেন গোবিন্দরা
মহারাষ্ট্রে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'দহি হান্ডি'। মূলত জন্মাষ্ঠমীর দিন এই অনুষ্ঠানটি হয়। এই অনুষ্ঠানটিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্যের ক্রীড়া বিভাগের অধীনে নিয়ে এলেন। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের এই 'দহি হান্ডি' অনুষ্ঠানটি মানুষের মনে শৃঙ্খলা গঠন করতে সাহায্য করবে। এই 'দহি হান্ডি'র টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। গোবিন্দরা মহারাষ্ট্র কোটার অধীনে চাকরি পাবেন। 'দহি হান্ডি' অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীদের গোবিন্দদাস বলে উল্লেখ করা হয়। কখনও আবার তাঁদের গোবিন্দ বলা হয়। তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা গোবিন্দদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করব।'
‘দহি হান্ডি’ কী
দহি হান্ডি' মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। মূলত জন্মাষ্টমীর সময় এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজ্যের মানুষ মেতে ওঠেন। 'দহি হান্ডি' অর্থ হল মাটির পাত্রে দই। শিশু কৃষ্ণের প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মাখন চুরির চেষ্টার অনুকরণে এই অনুষ্ঠানটি করা হয়। কথিত আছে, শিশু কৃষ্ণের নাগালের বাইরে মাটির পাত্রে মাখন রেখে দিতেন প্রতিবেশীরা। শিশু কৃষ্ণ বা গোপাল তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মাখন চুরির চেষ্টা করতেন। জন্মাষ্টমীকে কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিন গোপালের পুজো করা হয়। কৃষ্ণের শৈশবের রূপকে গোপাল বলে উল্লেখ করা হয়।
‘দহি হান্ডি’ অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র
জন্মাষ্টমীর দিন রাজ্য জুড়ে এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ যুক্ত হন। রাজ্যের একাধিক রাস্তায় বা কখনও বাড়ির উঠোনে বেশ উঁচুতে মাটির পাত্র ঝুলানো হয়ে থাকে। যুবক যুবতীরা মানব পিরামিড গঠন করেন। তাঁরা সে উচ্চতায় মাটির পাত্র ভাঙার চেষ্টা করেন। তাঁরা একে অপরের ওপরে উঠে মানব পিরামিড গঠন করেন। তাঁদের এই অনুষ্ঠানের জন্য গোবিন্দ বলে উল্লেখ করা হয়। গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণের অপর একটি নাম। তাঁরা অনেক উঁচুতে রাখা মাটির হাঁড়ির নাগাল পেলেই উপস্থিত জনগণ উল্লাসে ফেটে পড়েন।
‘দহি হান্ডি’ কে খেলার সম্মানের আবেদন
এই 'দহি হান্ডি' অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রে একাধিক প্রতিযোগিতাও হয়। মূলত স্থানীয় ক্লাবগুলো এই প্রতিযোগিতা করে থাকেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই ভিত্তিক 'দহি হান্ডি' উৎসব সমন্বয় সমিতি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে এই অনুষ্ঠানটিকে খেলার মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করে চিঠি লিখেছিল। দহি হান্ডি উৎসব সমন্বয় সমিতির সদস্য অরুণ পাটিল জানিয়েছেন, 'এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। উৎসবের দিনে বছরে একবার এই খেলার পরিবর্তে প্রো কবাডিক মতো দহি মান্ডির একাধিক প্রতিযোগিতা বা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে গোবিন্দরা সারা বছর অনুষ্ঠান করতে পারবে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খেলাতে পরিণত হবে।'