শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে অশোক ভূষণের অন্তর্ভূক্তি, কর্নাটকের মতো আস্থাভোট এগোবে মহারাষ্ট্রেও?
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে অশোক ভূষণের অন্তর্ভূক্তি, কর্নাটকের মতো আস্থাভোট এগোবে মহারাষ্ট্রেও?
মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখন অনেকটাই কর্নাটকের মতো। আর এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ঘটনাপ্রবাহও অনেকটাই কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা বনাম কুমারস্বামীর মতোই গড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি মিল রয়েছে আরও একটি। কর্নাটকে ইয়েদুরপ্পার আস্থা ভোট এগিয়ে আনার যেই সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালত দিয়েছিল সেই রায় দানকারী বেঞ্চের সদস্য ছিলেন অশোক ভূষণ। মহারাষ্ট্রের আস্থা ভোট সংক্রান্ত আবেদনের যেই বেঞ্চ শুনবে তাতেও রয়েছেন অশোক ভূষণ। প্রসঙ্গত, কর্নাটকের ক্ষেত্রে আশ্থা ভওট এগিয়ে আনার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেখার বিষয় মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কী রায় দেয় শীর্ষ আদালত।
মহারাষ্ট্র নিয়ে সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের
অশোক ভূষণ ছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, এন ভি রমনা। মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের শপথগ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করে গতকালকেই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীদলগুলি। বিরোধীরা আজ আদালতে দাবি জানাবেন যাতে রাজ্যপালের দেওয়া ৭দিন পর নয়, ফড়নবিশের সরকার তাদের সংখ্যাগরিষ্টতা প্রমাণ করুক আজ, অর্থাৎ রবিবারই। পাশাপাশি আজকের শুনানির ভিডিও রেকর্ডিংয়েরও দাবি তুলোছেন বিরোধীরা।
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের
শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি-র দাবি, বিজেপিকে ক্ষমতা পাইয়ে দিতে পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। এই পরিস্থিতিতে বিধআয়কদের প্রভাবিত করা ও কেনাবেচা রুখতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আস্থা ভোট বা ফ্লোর টেস্টের আবেদন জানানো হয়। বিরোধীদলের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত এই বিষয়ে বলেন, "শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছে এবং সেই মামলার শুনানি হবে রবিবার সকালে। আবেদনে বলা হয়েছে, গভর্নর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন এবং গভর্নরের মতো উচ্চ পদকে উপহাস করেছেন। রাজ্যপাল কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নির্দেশে কাজ করেছেন।"
শনিবারের নাটকীয় পালাবদল
শুক্রবার রাত পর্যন্ত সবাই জানত যে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস, এনসিপির সমর্থনে সরকার গঠন করতে চলেছে শিবসেনা। তবে হঠাৎ শনিবার সব সমীকরণ বদলে যায়। শনিবার ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। এরপরই সকাল ৮টার সময় দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর হিসাবে শপথ নেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা বিধানসভায় এনসিপির প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা অজিত পাওয়ার।
শরদ পাওয়ার ও শিবসেনার প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর শরদ পাওয়ার টুইট করেন, "মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নয়। আমরা জানাচ্ছি যে আমরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করিনি বা সমর্থন করি না।" এই বিষয়ে শিবসেনা অভিযোগ এনে বলেছে, অজিত পওয়ার পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন সবাইকে।
'রাজ্যপাল যার , সরকার তার ', মহারাষ্ট্র নিয়ে উত্তর প্রদেশ থেকে সুর চড়ালেন অখিলেশ