মহারাষ্ট্রে 'সুপ্রিম ' শুনানির আগে চূড়ান্ত নাটকীয়তা! বিজেপির বিরুদ্ধে ফের ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ
টানটান নাটকীয়তায় ক্রমেই জমজমাট মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন প্রক্রিয়া। স্লগ ওভারে অমিত শাহের স্টেপ আপ করে শট খেলার পর এখন গোটা বিষয়টিই সুপ্রিম কোর্টের শুনানির ওপর নির্ভর করছে। আচমকাই শুক্রবার মধ্যরাতে বিজেপির তরফে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করে জানিয়ে দেন যে তাঁদের সমর্থনে রয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত শিবির। ফলে এনসিপির ৫৪ জনের মধ্য়ে ২৯ জনই তাঁদের সমর্থনে। আর অজিত শিবির জানিয়ে দেয় এরপরই যে এবার তাঁরাই মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করতে চলেছে। তবে এতে নাটকের যবনিকা মোটেও সহজে পতন হয়নি। এরপর উঠে আসছে আরও নাটকীয়তা।
ঘোড়া কেনাবেচা ও বিজেপি
এনসিপির শরদ শিবির ও কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ উঠছে যে, বিজেপি এবার কংগ্রেস ও এনসিপির বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে। সূত্রের দাবি, বিজেপির হাইকমান্ডের তরফে মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতাদের এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে ফের একবার ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উঠছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেসের দাবি
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে যে বিজেপির বেশ কয়েকজন দাপুটে মারাঠা নেতা হাত শিবিরের বিধায়কদের জন্য নামী রিসর্টে হোটেল রুম বুক করে দিয়ে তাঁদের সেখানে রেখে দিয়েছেন। আর কংগ্রেস বিধায়কদের সেখানে রেখে বাকি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বিজেপি নেতারা। এভাবেই মহারাষ্ট্রে ঘোড়া কেনাবেচা চলছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা অশোক চভন।
সুপ্রিম কোর্ট কী জানিয়েছে?
সুপ্রিমকোর্ট রবিবারের জরুরি ভিত্তিতে শুনানির সময় সাফ দেবেন্দ্র-অজিত শিবিরকে জানিয়ে দিয়েছিল যে , তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনে যাবতীয় নথি যেন তাঁরা সুপ্রিমকোর্টের সামনে পেশ করেন। আর আজ সেই শুনানির আগে থেকেই বিজেপি শিবির বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছে বলে দাবি কংগ্রেস ও এনসিপির।
আস্থাভোট ঘিরে শুনানি
সুপ্রিম কোর্ট আজ স্পষ্ট করে দিতে পারে মহারাষ্ট্রের আস্থাভোট নিয়ে। আর তার ওপরেই নির্ভর করছে গোটা সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। এদিকে, 'সুপ্রিম' অগ্নিপরীক্ষার আগে বিজেপির তরফে বিরোধী শিবিরের নেতাদের পদ্মশিবিরে ডেকে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় গণেশ নায়েক, নারায়ণ রানে, রাধাকৃষ্ণ পাটিলের মতো তাবড় মারাঠা নেতাদের উপর।