রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী দ্বন্দ্ব শেষ, করোনা আবহে অবশেষে খুলতে চলেছে মন্দির-মসজিদ
দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই দেশের অন্যান্য রাজ্যে ধর্মীয় স্থান খুলে গেলেও মহারাষ্ট্রের মন্দির-মসজিদ-গির্জার দরজা বন্ধই ছিল। অবশেষে প্রায় আটমাস পর ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দিল উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার।

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধি প্রকাশ হবে
শীঘ্রই তারা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধি প্রকাশ করবে। যা ধর্মীয় স্থানে আসা মানুষজনদের মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ধর্মীয় স্থান খোলা নিয়ে রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি চিঠি লিখেছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে। এনিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এমনকি রাজ্যপালের চিঠির ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল।

মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় স্থানগুলি বন্ধ করা হয়
গত মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় স্থানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়ে ধর্মীয় স্থান খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, 'বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এতদিন ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, ষাট বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

কী বলেন উদ্ধব ঠাকরে
উদ্ধব ঠাকরে আরও বললেন, 'মন্দির, মসজিদ সহ অন্যান্য জায়গায় ভিড় এড়ানো প্রয়োজন।' সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিলেন, দিওয়ালির পরই রাজ্যের স্কুল খুলে যাবে। তবে শুধুমাত্র ৯-১২ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুলবে স্কুল। দুটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

স্ট্র্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর সম্পর্কে যা বললেন উদ্ধব
স্ট্র্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর সম্পর্কে তিনি জানান, ধর্মীয় স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। ধর্মীয় স্থানে কাউকে মাস্ক ছাড়া দেখা গেলে জরিমানা করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষ আমার সমালোচনা করুক। আমি তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি। আমি সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য চিন্তান্বিত। একজন কোরোনা আক্রান্ত মাস্ক ছাড়া বের হলে ৪০০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। চিকিৎসকদের মত এমনটাই।'
বিহার থেকে শিক্ষা নিলেন মমতা, ২৭ শতাংশ ভোটকে পাখির চোখ করে ২ লক্ষ বাইক দেওয়ার ঘোষণা