মহারাষ্ট্রে দলিত বিক্ষোভে হিংসার নেপথ্যে কারা! উঠে আসছে কোন তত্ত্ব
শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকারি আমলারা ও কিছু বিজেপি নেতার বক্তব্য, বাম গোষ্ঠী এই বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে দলিতদের সভায় হামলার ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও তার জেরে মঙ্গলবার আগুন জ্বলেছে মহারাষ্ট্রের নানা প্রান্তে। জাতপাতের এই দ্বন্দ্বে রাজ্যের মানুষ যাতে প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেয় সেজন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
একইসঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকারি আমলারা ও কিছু বিজেপি নেতার বক্তব্য, বাম গোষ্ঠী এই বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ গুজরাতে সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানির নামও কেউ কেউ করছেন।
#Maharashtra: People seen waiting near Thane's Vartak Nagar due to less auto-rickshaws and other transport in the state today #BhimaKoregaonViolence pic.twitter.com/ttc3NpMcIt
— ANI (@ANI) January 3, 2018
এদিকে ভারিপা বহুজন মহাসংঘের প্রকাশ আম্বেদকররা ডানপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে হিন্দু একতা অঘড়ি, শিবরাজ প্রতিষ্ঠানের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে।
#Maharashtra: Protesters seen gathering at Ghatkopar's Ramabai Colony, police personnel also at the site #BhimaKoregaonViolence pic.twitter.com/tkoEaJGFU1
— ANI (@ANI) January 3, 2018
সংবিধানের প্রণেতা বিআর আম্বেদকরের নাতি প্রকাশ আম্বেদকরের অভিযোগ, শিবরাজ প্রতিষ্ঠানের লোকজন গ্রামবাসীদের উসকে ভীমা কোরেগাঁও এলাকায় দলিতদের মিছিলে হামলা করিয়েছে।
সোমবার পুনের ভীমা কোরেগাঁও এলাকায় দলিত সম্প্রদায়ের এক কর্মসূচিতে হামলা হয়। তাতে এক যুবক প্রাণ হারান। যার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের একাধিক এলাকা। মুম্বইয়ে রাস্তা বন্ধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মুম্বই, থানের মতো এলাকায় বনধ শুরু হয়ে যায়।
রামবানি কলোনি, কামরাজ নগর, আচার্য গার্ডেন, চেম্বুর সহ নানা এলাকায় শুরু হয় দলিত বিক্ষোভ। মুলুন্দ, ওরঙ্গাবাদ, কোলাপুর, আহমেদনগর ও থানেও বাদ ছিল না। সমস্ত জায়গায় যান পরিষেবা শিকেয় ওঠে। মঙ্গলবারের ভাঙচুরের ঘটনায় ১৬০টি বাসের ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাস আগুনে পুড়ে পুরোপুরি জ্বলে গিয়েছে।
ঘটনা হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার বিরোধীদের দাবিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় কড়া তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। মারাঠা ও দলিতদের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই বলেও দাবি করা হয়েছে।