উদ্ধব ঠাকরের মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ বেআইনি, দাবি বিজেপির
উদ্ধব ঠাকরের মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ বেআইনি বলে অভইযোগ আনলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল। তাঁর যুক্তি উদ্ধব সরকারের মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণের সময় তাঁদের দলের নেতাদের নাম নিয়েছেন। এটি প্রোটোকলের পরিপন্থি। আজ ফ্লোরটেস্টের আগে মহারাষ্ট্রের বিধানভবনে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন চন্দ্রকান্ত।
দাবি খারিজ বিরোধীদের
এদিকে চন্দ্রকান্ত পাটিলের আনা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন এনসিপি মুখপাত্র তথা এনসিপির মুম্বই শাখার প্রধান নবাব মালিক। তিনি পাল্টা অভিযোগ আনেন যে বিজেপি নেতারাও অনেক ক্ষেত্রে দলে শীর্ষ নেতৃত্ব নাম নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন।
পাল্টা তোপ বিজেপি সাংসদদের
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের সময় বিজেপি মন্ত্রীরাও এই কাজ করেছেন বলে পাল্টা দেন নবাব। তিনি বলেন যদি এই পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে বহিস্কার করা হয় তবে লোকসভায় বিজেপি আর্ধেকের থেকে বেশি সাংসদ বহিস্কৃত হবে বলে দাবি করেন তিনি।
উদ্ধবের শপথের পরেই ৬ মন্ত্রীও শপথ নেন
শিবাজি পার্কে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধব ঠাকরের শপথের পরেই ৬ মন্ত্রীও শপথ নিয়েছেন। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি তিন রাজনৈতিক দল থেকেই ২ জন করে বিধায়ক মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, সুভাষ দেশাই শপথ নিয়েছেন মন্ত্রীপদে। এনসিপির দুই বিধায়ক জয়ন্ত পাটিল ও ছগন ভুজওয়াল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরট ও নীতিন রাউত। মন্ত্রিসভার বাকি মন্ত্রীরা শপথ নেবেন ৩ ডিসেম্বর।
আঘাড়ি চুক্তি
চুক্তি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়াও শিবসেনার কাছে আছে ১৫টি মন্ত্রিসভার পদ। এনসিপির কাছে আছে উপমুখ্যমন্ত্রী ও ১৩টি মন্ত্রী পদ। আর কংগ্রেসের হাতে আছে স্পিকার এবং ১৩টি মন্ত্রিসভার পদ। এর মধ্যে আবার ডেপুটি স্পিকারের পদটি পেয়েছে এনসিপি। প্রথম দিনেই চুক্তি মেনে তিন রাজনৈতিক দল থেকেই ২ জন করে মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। ৩ ডিসেম্বরের আগে আস্থাভোট করাতে হবে বলে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। তবে উদ্ধব ঠাকরে সময় নষ্ট করতে নারাজ। তাই আজকেই আস্থাভোট সম্পন্ন করতে চলেছেন তিনি।