২০১৯মহারাষ্ট্র,হরিয়ানায় বিজেপির সরকার গঠন নিয়ে ময়দানে অমিত শাহ! স্লগ ওভারে ওভার বাউন্ডারির আশায় দল
ভারতীয় রাজনীতিতে এখন তিনিই 'গ্রেট ফিনিশার' হিসাবে পরিচিত। বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ চিরকালই শেষ মুহূর্তের খেলায় বাজিমাত করে প্যাভিলিয়ানে ফিরেছেন। কর্ণাটক হোক বা গোয়া , সর্বক্ষেত্রেই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিয়ে বিজেপিকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই স্টার পারফরমার। আর এবার ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন আশাতীত সাফল্য পেতে ব্যর্থ হয়েছে, তখনও ময়দানে শেষমেশ নামতে হচ্ছে অমিত ভাই শাহকে। আর তাঁকে ঘিরেই এবার চড়ছে বিজেপির আশার পারদ।

চৌতালা ঘুঁটি সরিয়ে খট্টরেই কিস্তামাতের আশা!
অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ শিবির নির্বাচনী ফলাফলের রাতেই হুঙ্কার দিয়ে দিয়েছিল যে হরিয়ানাতে সরকার তাঁরাই গড়তে চলেছে। উল্লেখ্য, হরিয়ানায় বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ৪৬ থেকে ৬ টি আসনে পিছিয়ে । এমন পরিস্থিতিতে জেজেপি আসরে নেমে গিয়েছে। দলের দুষ্মন্ত চৌতালা দাবি করেছেন যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করবে , সেই দলকেই জেজেপি সমর্থন জানাবে। এমন পরিস্থিতিতে অমিত শাশ শিবির সাফ বার্তা দিয়ে দিয়েছে, যে বিজেপির মনোহর লাল খট্টরই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর খুব শিগগিরিই তিনিই শপথ নিতে চলেছেন।

মহারাষ্ট্রে 'সেনা'র প্রেশার গেম ও অমিত শাহ
মহারাষ্ট্রেও আশাতীত সাফল্য পায়নি পদ্ম শিবির। সেদিক থেকে আঞ্চলিক দল হিসাবে ঠাকরে শিবির সদর্পে উড়িয়েছে শিবসেনার পতাকা। এর সঙ্গে আদিত্য ঠাকরের জয়ের পর থেকেই বিজেপির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে সেনা। সূত্রের খবর, শিবসেনার দাবি, বিজেপি যেখানে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ,সেখানে মহারাষ্ট্রের বুকে শরিকদল শিবসেনার আদিত্যকেই যেন মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে ফের একবার ময়দানে অমিত শাহের ঝোড়ো ব্যাটিং এর অপেক্ষায় বিজেপি।

বিজেপি হেডকোয়ার্টার্স কী ভাবছে?
দুটি রাজ্যেই যখন বিজেপি শিবির খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে তখন 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' এর দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে ফের অমিত শাহের কাঁধে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিজেপির প্রধান সুভাষ বারালাকে অভিনন্দন জানিয়ে, মহারাষ্ট্রের ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়ে রাজনৈতিক অঙ্কের চরম হিসাবে এবার নামতে চলেছেন 'চাণক্য' অমিত শাহ।