তেজসের মতই হাল হল হাইপ্রোফাইল মহামনা এক্সপ্রেসের, তিতিবিরক্ত রেল কর্তৃপক্ষ
তেজস এক্সপ্রেসের মতই পরিণতি হল বারাণসী- বদোদরা মহামনা এক্সপ্রেসের। প্রথম যাত্রার শেষে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরল এই অত্যাধুনিক ট্রেন।
তেজস এক্সপ্রেসের মতই পরিণতি হল বারাণসী- বদোদরা মহামনা এক্সপ্রেসের। প্রথম যাত্রার শেষে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরল এই অত্যাধুনিক ট্রেন। চুরি গিয়েছে বেশ কিছু জিনিস, এমনকী দুটি কামরার মাঝে পাতা কার্পেটও নেই। বেশ কিছু সিটও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে রেলসূত্রে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবারই বারাণসী- বদোদরা মহামনা এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার প্রথম যাত্রা শেষ করে বারানসী ফিরে আসার পর দেখা যায় হাই প্রোফাইল মহামনা এক্সপ্রেসের অবস্থা রীতিমত শোচনীয়। বেশ কয়েকটি কামরার শৌচাগার থেকে কল উধাও, নেই হ্যান্ড শাওয়ারও। এছাড়াও দুই কামরার সংযোগস্থলে পাতা ২টি কার্পেটও নেই। বেশ কিছু আয়না প্রায় ভাঙা। শৌচাগারজুড়ে পানমশলার পিক ও আবর্জনা, সিটে আঁচড়ের দাগ।
কে বা কারা এই কাজ করেছেন তা ধারনার বাইরে হলেও রেল আধিকারিকদের অনুমান কোনও দুষ্কৃতীদের কাজ নয়, যাত্রীদের একাংশই এই কাজ করেছে। পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবীন্দ্র ভাকর জানিয়েছেন, একদিকে যখন রেলের উন্নয়নে ট্রেনগুলিকে অত্যাধুনিক করে তোলা হচ্ছে, একশ্রেণির যাত্রী তা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
চলতি বছরেই মে মাসে একই পরিণতি হয়েছিল মুম্বই- গোয়া সুপারফাস্ট তেজস এক্সপ্রেসের। প্রথম যাত্রার শেষেই দেখা যায়, ট্রেনের সিটের সঙ্গে লাগানো এলসিডি ভাঙা, জানলার কাজ ভাঙা, অধিকাংশ কল নেই, বেশ কিছু হেডফোনও চুরি যায়। এই ঘটনায় মুম্বইয়ের একজনকে গ্রেফতার করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বাকি দুষ্কৃতীদের এখনও খোঁজ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: রাত জেগে ঠাকুর দেখার জন্য থাকছে রেলের এই বিশেষ ব্যবস্থা]