উমিয়াম বাঁধের 'স্বাস্থ্য' ফেরাতে উদ্যোগ! বিধানসভায় এমনই সিদ্ধান্তের ঘোষণা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর
গুয়াহাটি থেকে শিলং-এর মধ্যে নতুন রাস্তা তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে মেঘালয় সরকার। উমিয়াম জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁচাতেই এর চেষ্টা চলছে বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গুয়াহাটি থেকে শিলং-এর মধ্যে নতুন রাস্তা তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে মেঘালয় সরকার। উমিয়াম জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁচাতেই এর চেষ্টা চলছে বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে গিয়েছে গুয়াহাটি-শিলং-এর রাস্তা। ভারী গাড়ি চলাচলে বাঁধে কম্পন হয়। ভবিষ্যতে বাঁধ বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন সম্প্রতি উমিয়াম বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। পরিবর্তিত রাস্তা তৈরির জন্য সরকারকে বলেছিল তারা। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
এই মুহূর্তে গুয়াহাটির দিক থেকে যাওয়া প্রত্যেকটি গাড়িকে ২২০ কিমি লেক ঘুরে যেতে হয়। যা পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। প্রত্যেক দিন হাজারো গাড়ি এই বাঁধের ওপর দিয়ে যায়। এই বাঁধ দিয়েই রাজ্যের প্রথম এবং প্রধান জল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে ঢোকা এবং বেরনোর একাধিক উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন উমিয়াম বাঁধের ওপর দিয়ে চালচলকারী গাড়ির সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৬০-এর শুরুর দিকে এই উমিয়াম বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। যার জল ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১.৪৭,০০০ একর ফিট। ২০০৮-এর স্টেট ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে এই বাঁধের আয়ু ৪০০ বছর বলেও মন্তব্য করা হয়েছিল।