ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে হিংসাত্মক বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট, সিট গঠনের নির্দেশ
ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে হিংসাত্মক বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট, সিট গঠনের নির্দেশ
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি এলাকা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গাড়িতে আুন লাগিয়ে দেওয়া, বাস ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হিংসার নিন্দা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করতে ও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে রাজ্য পুলিশকে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে।
তীব্র প্রতিক্রিয়া মাদ্রাজ হাইকোর্টের
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন সতীশ কুমার বলেন, বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করতে হবে রাজ্যপুলিশকে। তারা ঘটনার তদন্ত করবে। অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান। এই ধরনের ঘটনা পুলিশকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিচারপতি এন সতীশ কুমার বলেন, বিক্ষোভকারীরা কীভাবে হামলা করেছিলেন, তা তিনি টেলিভিশনে দেখেছেন। এত হিংসাত্মক মানসিকতা দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কয়েক জন বিক্ষোভারীর জন্য হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। এর বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ
মৃত ছাত্রীর বাবার আবেদন মঞ্জুর করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। তামিলনাড়ুর উচ্চ আদালত মৃত ছা্ত্রীর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের অনুমতি দিয়েছে। এই ময়নাদন্তটি বিচারকের ঠিক করা তিন জন চিকিৎসকের একটি দল করবে বলে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ময়নাতদন্তের সময় মৃতের বাবাকে তাঁর আইনজীবী সহ উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছে তামিলনাড়ুর উচ্চ আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তদন্ত অন্য একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত সিবি-সিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু ও বিক্ষোভ
চিন্নাসালেমে
একটি
বেসরকারি
আবাসিক
স্কুলে
দ্বাদশ
শ্রেণির
এক
ছাত্রীর
রহস্য
মৃত্যু
হয়।
হস্টেলের
তৃতীয়
তল
থেকে
ওই
ছাত্রী
ঝাঁপ
মারে।
কিন্তু
ময়নাদন্তের
রিপোর্টে
ছাত্রীর
শরীরে
একাধিক
আঘাতের
চিহ্ন
পাওয়া
যায়।
চিকিৎসকরা
জানান,
মৃত্যুর
আগে
ছাত্রী
কোনওভাবে
আহত
হয়েছিলেন।
ছাত্রীর
রহস্যমৃত্যুতে
স্কুল
কর্তৃপক্ষ
দায়ী
রয়েছে
বলে
প্রথম
থেকে
মৃতার
পরিবার
দাবি
করতে
থাকে।
ইতিমধ্যে
পুলিশ
চারজনকে
গ্রেফতার
করেছে।
ছাত্রীর
মৃত্যুর
তদন্তের
দাবিতে
বিক্ষোভে
তামিলনাড়ুর
কাল্লাকুরিচি
এলাকা
রণক্ষেত্রের
আকার
নেয়।
কয়েকটি
যুব
সংগঠন
ও
স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন
এই
বিক্ষোভে
অংশগ্রহণ
করেছিল।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
এই
বিক্ষোভে
অংশ
নেওয়ার
জন্য
স্থানীয়দের
আহ্বান
করা
হয়।
বিক্ষোভ
ক্রমেই
হিংসাত্মক
হয়ে
ওঠে।
পুলিশের
একটি
গাড়িতে
আগুন
লাগিয়ে
দেওয়া
হয়।
একটি
বাস
ভাঙচুর
করা
হয়।
পুলিশ
ও
সাধারণ
নাগরিককে
লক্ষ্য
করে
পাথর
ছোড়া
হয়।
ঘটনায়
বেশ
কয়েকজন
পুলিশকর্মী
আহত
হয়েছিলেন।
বিক্ষোভ
ছ্ত্রভঙ্গ
করতে
পুলিশ
শূন্যে
গুলি
ছোড়ে।
এত
ব্যাপক
পরিমাণে
বিক্ষোভকারী
জমায়েত
করেছিল,
যে
পাশের
জেলা
থেকে
পুলিশ
এসে
পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে
আনার
চেষ্টা
করে।