'অপারেশন কমল'-এর পাল্টা চাল কংগ্রেসের? মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগে চাঞ্চল্য!
বেশ কয়েকদিন ধরেই উথাল পাথাল দেখছে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। দলের সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক 'নিখোঁজ' হয়ে যাওয়ার কথা চাউর হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। এরকম পরিস্থিতিতে শনিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেন এক বিজেপি বিধায়ক তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। এরই মধ্যে অপর এক বিজেপি বিধায়কের অভিযোগে নতুন মোড় নিল সেরাজ্যের রাজনীতি।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় পাঠক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'আমার উপর অনেক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। আমাকে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। আমি যদি তা না করি কবে আমার এবং আমার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রাণ সংশয়ে রয়েছে। তবে আমি মরে গেলেও বিজেপি ছাড়ব না।'
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের রাজনীতি করার অভিযোগ
প্রসঙ্গত, এর আগে সঞ্জয় পাঠকের একটি রিজর্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেটি করা হয় মধ্যপ্রদেশ সরকারের নির্দেশে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে প্রশাসন নোটিশ জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে পাঠকের সেই রিজর্টটি বেআইনি ভাবে জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাঠক দাবি করেন, প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে রাজ্যে।
উল্টো স্রোতে হেঁটে কমলনাথের সঙ্গে দেখা বিজেপি বিধায়কের
এদিকে এর আগে অপারেশন কমলের উল্টো স্রোতে বয়ে বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি কমলনাথের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। কমলনাথের বাসভবনে যাওয়ার আগে বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি আবার স্পিকারের সঙ্গেও দেখা করেন। যা নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। তবে এখনই তিনি পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে দেখা করার পর দলের প্রতি অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন নিজের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
অপারেশন কমলে নাজেহাল কমলনাথের সরকার!
এদিকে ইতিমধ্যেই মধ্য প্রদেশের কংগ্রেসের এক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেই কংগ্রেস বিধায়ক হরদীপ সিং দাং স্পিকারের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠান। তাতে তিনি লিখেছেন সরকার গঠনের পর থেকেই দলে ভীষণভাবে উপেক্ষিত হয়ে রয়েছে। কমলনাথ সরকারের প্রতি নিজের অসন্তোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন পদত্যাগ পত্রে। এবং সিএএ এবং এনআরসির সমর্থনও জানিয়েছেন তিনি।