মধ্যপ্রদেশে ছাত্রদের রোল কলের জবাবে কী বলতে বাধ্য করছে সরকার জানেন
মধ্য প্রদেশের সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে রোল কলের উত্তর দিতে হবে 'জয় হিন্দ' বলে।
এখন থেকে স্কুলে রোল কলের সময় 'জয় হিন্দ' বলে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে হবে মধ্য প্রদেশের ছাত্রদের। সেরাজ্যের সরকার আজ ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে এই ব্য়বস্থা বাধ্যতামূলক করা হল।
কিন্তু কেন? এতে লাভ কী? মধ্যপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তরের দাবি, এই পদক্ষেপে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ গড়ে উঠবে। অবশ্য এরকম একটা ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী বিজয় শাহ। গত নভেম্বরে তিনি বলেছিলেন, ছাত্ররা রোল কলের জবাবে 'ইয়েস স্যার' বা 'ইয়েস ম্যাম' বলে। এটা এদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। এসব বিদেশী অনুকরণ তাঁর নাপসন্দ। তাঁর পরামর্শ ছিল ছাত্রছাত্রীরা বরং এর পরিবর্তে 'জয় হিন্দ' বলুক।
সেসময় তিনি এও জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশে ১ লক্ষ ২২ হাজার সরকারি স্কুল রয়েছে। ওই সমস্ত স্কুলেই এই ব্যবস্থা বাধ্য়তামূলক করা হবে। পাশাপাশি এবিষয়ে একটি উপদেষ সব বেসরকারি স্কুলে জারি করা হবে। এদিন মধ্যপ্রদেশের সরকারি বেসরকারি সব স্কুলেই এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হল। তবে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি এই নিয়ম লঙ্ঘন করে তবে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে ২০১৬ সালে সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, যাকে মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। সেসময় এই নির্দেশ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সমালোচকরা বলেছিল দেশাত্মবোধ একটা বোধের বিষয়. অনুভবের বিষয়। তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যাপার নয়। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে এই নির্দেশ জারির পরও প্রশ্ন উঠছে এভাবে আদৌ দেশাত্মবোধ গড়ে ওঠে কি না তা নিয়ে। অনেকেই বলছেন দেশাত্মবোধ বাধ্য়তামূলক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের মগজে 'ইনজেক্ট' যায় না। প্রসঙ্গত সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ এবছর জানুয়ারিতে শীর্ষ আদালত প্রত্যাহার করেছে।