রাষ্ট্রপতি হওয়া তাঁর স্বপ্ন, তাই এবারও প্রার্থী গোয়ালিয়রের এই 'চা-ওয়ালা'
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী আনন্দ সিং কুশওয়াহা। এই ভদ্রলোক মোট ২০বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। তবুও দমে যাননি। আর এই নিয়ে চতুর্থবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন।
যদি গুজরাতের কোনও এক চা-ওয়ালা সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে কোনও চা-ওয়ালার পক্ষ্যে কি রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখা খুব অস্বাভাবিক? হয়ত নয়। তবে কঠিন নিঃসন্দেহে।
আর একথা ভালো করেই জানেন মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী আনন্দ সিং কুশওয়াহা। এই ভদ্রলোক মোট ২০বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। তবুও দমে যাননি। আর এই নিয়ে চতুর্থবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন তিনি।
গোয়ালিয়রের আনন্দ সিং কুশওয়াহা আদতে চা-ই বিক্রি করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি নির্বাচনে লড়ে চলেছেন। এমনকী উপ-রাষ্ট্রপতি পদেও তিনি লড়াই করেছেন। আনন্দের দাবি, উত্তর ও মধ্য প্রদেশের সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর আলাপ রয়েছে। তবে আগে বেশি ভোট না পেলেও এবার তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন যে ভোট আনন্দ সিংকেই দেবেন।
তবে যেকোন ভোটে লড়তে এদেশে অনেক টাকা খরচ হয়। সেকথা এতদিনে ভালোই বুঝেছেন চা-ওয়ালা আনন্দ সিং। আর তাই প্রতিদিন অল্প অল্প করে সঞ্চয় জমিয়ে রাখেন যাতে নির্বাচনে লড়তে পারেন।
এর আগে ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করেছেন। পেয়েছেন মাত্র ৩৭৬টি ভোট। তবে সেসব দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁকে। বুকে স্বপ্ন নিয়ে একের পর এক নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। আনন্দ সিংয়ের স্বপ্ন অন্তত একবার ভোটে জিতে সাফল্য পেতে। তবে সেই স্বপ্ন আদৌও দিনের আসো দেখবে কিনা তা ভবিষ্যৎই বলবে।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আনন্দ সিং কুশওয়াহা লড়াই করেন। সেইসময়ে সংসারের রোজগার এনে দেওয়া চায়ের দোকান স্ত্রী সামলেছেন। সেইবছরের হলফনামা অনুযায়ী আনন্দ সিংয়ের ৫ হাজার টাকা নগদ সম্পত্তি রয়েছে এবং ১০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র মনের জোরে অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।