লাভ জিহাদ ঠেকাতে বাল্য বিবাহের দাওয়াই! দেখুন কি বলছেন এই বিজেপি নেতা
মধ্য প্রদেশের এক বিজেপি নেতার মতে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে পারে লাভ জিহাদ।
দেশের আইনে বাল্য বিবাহ অপরাধ। মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারিত আছে আঠারো। কিন্তু সেই বাল্যবিবাহের পক্ষেই জোরালো সওয়াল করলেন শাসক দল বিজেপির এক মধ্য়প্রদেশের নেতা। তাঁর মতে বাল্য বিবাহেই ঠেকানো যাবে 'লাভ জিহাদ'।
[আরও পড়ুন: চার্চের দরজায় লেখা 'মন্দির ইয়াহীঁ বনেগা'! গুজব না সত্যি ]
অগর মালওয়ার বিজেপি বিধায়ক গোপাল পালমার মনে করেন, আগে যে বাড়ির বড়রা মেয়েদের ছোটবেলাতেই বিয়ে ঠিক করে দিতেন, সেটাই ভাল ছিল। কারণ তাঁর মতে 'সেই সম্পর্কগুলি অনেক বেশি টেকসই হত'। তিনি মনে করেন আঠারো বছর বয়স মেয়েদের জীবনের একটা 'অসুস্থ' সময়। 'যেদিন থেকে এই আঠারো বছরের 'অসুস্থ' বয়সকে আইনি বিয়ের বয়স করা হয়েছে, সেদিন থেকেই মেয়েরা পালিয়ে বিয়ে করা শুরু করেছে', বলেই তাঁর মত। কারণ, 'মেয়েরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলেই তাদের মন উড়ু উড়ু করতে থাকে'।
তার ওপর 'কূটবুদ্ধির পুরুষ ও অপরাধী'-র তো অভাব নেই দেশে। যারা সামনা সামনি ভদ্র বিনয়ীর ভান করে স্কুলছাত্রীদের নিশানা করে। আর বয়ঃসন্ধির সেই মেয়েরা সহজেই তাদের ফাঁদে ধরা পড়ে। মায়েদের বলছি আপনারাই লাভ জিহাদ ঠেকাতে পারেন'। তিনি বলেন, 'স্পষ্টতই কিছু লোক প্রথমে আপনার পরিবারের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে। ভালবাসা দেখায়। তারপর সেই পরিবারের মহিলাদের শোষণ করে।' আর এই কারণেই ঘটছে লাভ জিহাদের মতো ঘটনা। তিনি বলেন সময়ে বিয়ে না হলেই মেয়েদের মন এদিক এদিক চলে যায়।
তাহলে বিয়ের উপযুক্ত সময় কোনটা? গোপাল পালমার মনে করেন মেয়েদের ছোটবেলাতেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া উটিত। তিনি বলেন, 'অতীতে তাকিয়ে দেখুন। তখন বাড়ির বড়রা ছোটবেলাতেই মেয়েদের বিয়ে ঠিক করে দিতেন। মেয়েরাও জানত তাদের বিয়ে ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে আছে। তাই তাদের মধ্যে ছটফটানি থাকত না। তারা কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিত না।'
বিজেপি ও তাদের হিন্দুত্ববাদী শাখা সংগঠনগুলির অভিযোদ, মুসলিম ছেলেরা অল্পবয়সী হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করার নামে ধর্মান্তরিত করে। এই ঘটনাটিকেই তারা লাভ জিহাদ বলে থাকেন। প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগেই কেরালায় হাদিয়া জাহান নামে এক মহিলার বিয়ে ঘিরে লাভ জিহাদের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগটি করেছিলেন হাদিয়ার বাবা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় হাদিয়া নিজার ইচ্ছেতেই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেছেন। তার ওপর কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটকে প্রচার জোরদার কংগ্রেসের, আসছেন সোনিয়া]