১০০ জন ধর্ষকের সাক্ষাৎকার নিয়ে শিরোনামে দিল্লির তরুণী, জানুন কেন করেছেন এমন কাণ্ড
ইংল্যান্ডের আংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণারত ক্রিমিনোলজির ছাত্রী মধুমিতা পাণ্ডে ১০০ ধর্ষকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের গণধর্ষণের ঘটনা সারা দেশকে কিছুটা হলেও পাল্টে দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ইংল্যান্ডে স্নাতকোত্তর পড়তে যাওয়া ভারতীয় এক তরুণীও।
সারা দেশ যখন ধর্ষকদের চরম শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে তখন মাত্র ২৬ বছর বয়সী মধুমিতা পাণ্ডের মনে হয়েছে, কেন ধর্ষকরা এমন করে? এমন ঘৃণ্য কাজ করার ক্ষেত্রে কোন মানসিকতা তাদের কাজ করে? সেই ভেবেই তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, যারা এমন করে, তাদের কাছেই এই প্রশ্ন করবেন।
এভাবেই ইংল্যান্ডের আংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণারত ক্রিমিনোলজির ছাত্রী মধুমিতার বিষয় হয়ে ওঠে ধর্ষকদের মনস্তত্ত্ব। তিনি তিহার জেলে গিয়ে ১০০ জন ধর্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মন নিয়ে গবেষণা করেন।
সেই নিয়েই কথা বলতে গিয়ে মধুমিতা জানিয়েছেন নানা অজানা কথা। ধর্ষকদের মধ্যে কেউ নিরক্ষর, কেউ স্কুল পালানো ছাত্র। কতিপয় আবার স্নাতক পাশ করেছে। এরা সকলেই রক্তমাংসের মানুষ। তবে তাদের বড় হয়ে ওঠার পরিবেশ ও ভাবনাচিন্তা তাদের ধর্ষক করে ছেড়েছে। এছাড়া অনেকেই জানে না ধর্ষণ মানে কি। প্রতিবাদ করলে যে ছেড়ে দিতে হয়, ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করাকে কি বলে, তা এরা জানে না বলেই উঠে এসেছে মধুমিতার বক্তব্যে।
এভাবেই এতজন ধর্ষকের মনের অবস্থা নিয়ে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নজরে পড়ে গিয়েছেন মধুমিতা। তবে নিজের চেয়ে কাজকেই এগিয়ে রেখে তা নিয়ে সচেতনা বাড়ানোর চেষ্টাই করে চলেছেন এই গবেষক ছাত্রী।