শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ রাহুল, মোদীর
কংগ্রেসের আদরের মেয়ে ছিলেন শীলা দীক্ষিত। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে টুইট করে একথা লিখেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেসের আদরের মেয়ে ছিলেন শীলা দীক্ষিত। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে টুইট করে একথা লিখেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। দিল্লিতে তাঁর নেতৃত্বেই একচেটিয়া শাসন করেছে কংগ্রেস। শেষে দিকে দলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে ফের তাঁকেই কাছে টেনে নেয় কংগ্রেস। যদিও তাঁর অনড় মনোভাবের কারণেই শেষ পর্যন্ত আপের সঙ্গে জোটটা হয়নি কংগ্রেসে। যার চরম পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে দলকে।
দিল্লিতে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের খবর পাওয়ার পরেই রাহুল গান্ধী টুইট করে শোক প্রকাশ করেন। টুইটে রাহুল লিখেছেন আমি ভীষণভাবে মর্মাহত। শীলাজি কংগ্রেসের ভীষণ আদরের মেয়ে ছিলেন। যাঁর সঙ্গে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। সমবেদা জানাই দিল্লির বাসিন্দাদেরও। যাঁদের তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে আগলে রেখেছিলেন ১৫ বছর ধরে।
কংগ্রেসের দলীয় টুইটারেও শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন। টুইটে অশোক লিখেছেন, শীলাজির প্রয়াণে বড় ক্ষতি হয়ে গেল কংগ্রেসে। তিনি জননেত্রী ছিলেন। দল তাঁর অভাব ভীষণভাবে অনুভব করবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। মোদী টুইটে লিখেেছন, শীলাজির প্রয়াণে আমি ভীষণভাবে মর্মাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। শীলাজি দিল্লির উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেকারণেই লোকসভা ভোটের অংশ হয়েও তেমন সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারেননি। দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার পর পর দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপরেই তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।