কোন খেলা সবচেয়ে পছন্দ ছিল করুণানিধির! কোন খেলোয়াড় প্রিয় ছিলেন জানেন কি
শুধু ক্রিকেট খেলা দেখাই নয়, অবসর সময়ে চিপকের মাঠে ক্রিকেটও খেলেছেন করুণানিধি।
প্রায় পাঁচ দশক আগে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে দুজন খুব ভালো সহযোগী পেয়ে যান এম করুণানিধি। তাঁরা হলেন পিইউ শনমুগম ও এস মাধবন। দুজনেই ডিএমকে দলের নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন। তিনজনেরই একই ধরনের ভালোবাসা ছিল ক্রিকেটের প্রতি। আর এই তিনজনে মিলেই আটের দশকের শুরুতে চলে যেতে চিপক স্টেডিয়ামে। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দিতে।
শুধু ক্রিকেট খেলা দেখাই নয়, অবসর সময়ে চিপকের মাঠে ক্রিকেটও খেলেছেন করুণানিধি। স্টেডিয়ামে থাকতে না পারলেও মন দিয়ে সমস্ত ম্যাচের ধারাভাষ্য শুনতেন। নবতিপর হয়েও ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একই রকমের রয়ে গিয়েছিল। তা সে শরীর সঙ্গে দিক বা না দিক।
২০১৪ সালে ডিএমকে নেতা করুণানিধি নিজের একটি ছবি টুইট করেন। হাতে তিনি সচিন তেন্ডুলকরের আত্মজীবনী 'প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে' ধরে ছিলেন। সচিনকে অনেক শুভেচ্ছাও জানান করুণানিধি।
সারাজীবন হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সময় পেলেই ক্রিকেট দেখতে বসে যেতেন কলাইনর। আবার কোথাও মিটিংয়ে গিয়েছেন, খেলা দেখার সময় নেই। ফোনে তখন স্কোর জিজ্ঞাসা করতেন। মেয়ে কানিমোঝি বলেছেন, অনেক সময় আমি ফোন ধরতাম। কোন খেলা জিজ্ঞাসা করলে বাবা বলতেন মা-কে ফোনটা দিতে। এতটাই ক্রিকেটের প্রতি কলাইনরের ভালোবাসা ছিল।
ডিএমকে-তে করুণানিধিকে সঙ্গে দেওয়া কর্মীরা জানিয়েছেন, কলাইনর খেলা থাকতে মিটিং বাতিল করতেন। অথবা সময় 'অ্যাডজাস্ট' করতেন। যে করেই হোক খেলা দেখার চেষ্টা করতেন। ভারত খেলায় হারলেই মনমরা হয়ে যেতেন। তখন সামনে যেই যেতেন তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করতেন কোথায় খামতি থেকে গিয়েছে।
সচিন তো প্রিয় ছিলেনই, এছাড়া তামিলনাড়ুর লক্ষ্মীপতি বালাজি, কপিল দেব, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দারুণ পছন্দ করতেন করুণানিধি। ভারত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জেতার পরে রাজ্যের ক্রিকেটার রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে ১ কোটি টাকাও পুরস্কার তুলে দেন তিনি। এছাড়া বিদেশিদের মধ্যে মুথাইয়া মুরলীধরন এদেশে এলেই করুণানিধির সঙ্গে এসে দেখা করে যেতেন।