এনআরএস কাণ্ড ও রাজ্যে হিংসা নিয়ে জোড়া রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এনআরএস কাণ্ডকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক আরও তলানিতে যেতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনআরএস কাণ্ডকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক আরও তলানিতে যেতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। একদিকে যেমন এনআরএস কাণ্ড নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, তেমনই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
এনআরএস-কে কেন্দ্র করে রাজ্যে পাঁচ দিন পরেও পরিস্থিতি সেই একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সংকট। কোনও পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। বরফ গলার লক্ষণ নেই। এনআরএসএর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আইএমএ-র বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়নি।
Sources: Ministry of Home Affairs (MHA) issued another advisory to West Bengal state government on the ongoing strike by doctors and sought a report on the matter urgently.
— ANI (@ANI) June 15, 2019
মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই আন্দোলনে বহিরাগতদের উস্কানির তত্বে সিলমোহর দিয়েছেন তাঁরা। তাতে আরও চটেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীও অনড় রয়েছেন তাঁর সিদ্ধান্তে।
সব মিলিয়ে আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। গতকাল এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নমনীয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেন আইএমএ-র প্রতিনিধিরা।
এখানে আবার জানিয়ে রাখা জরুরি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তনু সেন আবার তৃণমূল সাংসদ। কাজেই সেদিক থেকে তিনি যে শাসক দলের পক্ষেই কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। ঘটেওছে তাই। শান্তনু সেনের উপস্থিতি এবং আইএমএ-র বহিরাগত সত্ত্বে সিলমোহর দেওয়ার ঘটনায় উল্টো ফল হয়েছে। সমস্যা সমাধান হওয়ার থেকে বেশি জটিল হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে শেষে আবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।