মুম্বই বিমান দুর্ঘটনা, খেতে গিয়েছিলেন বলে বাঁচল এই ৫০ টি প্রাণ
দুপুরের খাবারের বিরতির জন্য মুম্বইতে যে বাড়ির উপর বৃহস্পতিবার বিমান ভেঙে পড়েছিল সেখানকার ৫০ জন নির্মাণকর্মী প্রাণে বেঁচে গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ মুম্বইয়ের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির উপর চার্টার্ড প্লেন ভেঙে পড়ে প্লেনের ৪ কর্মী-সহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনাটি যদি কয়েক মিনিট এদিক-ওদিকে ঘটত তাহলে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে পারত। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন ওই নির্মাণস্থলের জনা পঞ্চাশেক কর্মী। কারণ দুর্ঘটনা ঘটার মাত্র কিছুক্ষণ আগেই তাঁরা দুপুরের খাওয়ারের জন্য বেরিয়েছিলেন।
প্লেনের যে চারজন কর্মী মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন, দুই পাইলট - ক্যাপ্টেন প্রদীপ রাজপুত ও ক্যাপ্টেন মারিয়া জুবেরি এবং এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সুরভি গুপ্তা ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান মণীশ পান্ডে। সুরভি দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই মৃত্যু হয় গোবিন্দ পন্ডিত নামে এক পথচারিরও। প্রথমে মনে করা হয়েছিল তিনি বোধহয় এক নির্মাণকর্মী। পরে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকে জানা যায় দুর্ঘটনার সময় গোবিন্দ ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্লেন থেকে জ্বলন্ত জ্বালানি তেল পড়ে তিনি আগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
দুপুরের খাওয়ারের জন্য না গেলে ওই ৫০ জন নির্মাণকর্মীও নির্মাণস্থলেই থাকতেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরই বাড়ত। বিমানটির আঘাতে দুর্ঘটনাস্থলে বেশ বড় আকারের গর্ত হয়ে গিয়েছে। বিমানের মূল কাঠামোটিও কয়েক টুকরো হয়ে প্রায় ৫০ মিটার ব্যাসার্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিমানের চালকদের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রশংসা হচ্ছে চারিদিকে। অনেকেরই বক্তব্য চালকের জন্যই আরও বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। এলাকা ঘিঞ্জি, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে অনেকগুলি বহুতল আছে। সেগুলিতে ধাক্কা লাগতে পারত। এছাড়া ফাঁকা নির্মাণস্থল না হয়ে যদি বসতবাড়ি বা ব্যস্ত রাস্তায় বিমানটি ভেঙে পড়ত তাহলে অনেক বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।