লুধিয়ানা আদালত বিস্ফোরণ মামলায় জসবিন্দরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের NIA-এর
লুধিয়ানা আদালত বিস্ফোরণ মামলায় জসবিন্দরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের NIA-এর
২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা, মারাত্মক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা জেলা আদালত। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, নিষিদ্ধ সংগঠন ' জাস্টিস ফর শিখস' রয়েছে এই বিস্ফোরণের পিছনে। মনে করা হয়েছিল, এই সংগঠনের নেতা জসবিন্দর সিং মুলতানি এই ঘটনার মূলচক্রী৷ এবার সেই জসবিন্দরের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।
একাধিক অভিযোগ জসবিন্দরের বিরুদ্ধে!
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জার্মানি প্রশাসনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল ভারত৷ এরপর নয়া দিল্লির অনুরোধেই জসবিন্দরকে আটক করেছে জার্মানি প্রশাসন। ৪৫ বছর বয়সী জসবিন্দরের বিরুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা থেকে শুরু করে চক্রান্ত করা সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
ঘটনায় যুক্ত পাঞ্জাব পুলিশ থেকে বরখাস্ত হওয়া এক আধিকারিকও!
গোয়েন্দারা এর আগেই জানতে পেরেছিলেন, পাঞ্জাব পুলিশ থেকে বরখাস্ত হওয়া এক আধিকারিক গগনদীপ সিং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ধারণা, লুধিয়ানা জেলা আদালতে প্রায় দেড় কেজি বিস্ফোরক রেখেছিল সে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত ক'মাসে গগনদীপ বেশ ক'বার বিদেশে ফোন করেছিল৷ আদালতে বিস্ফোরণে আক্রান্ত হন প্রায় ছ'জন ব্যক্তি৷
পাঞ্জাবকে অশান্ত করায় ছিল উদ্দেশ্য!
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নির্বাচনমুখী পাঞ্জাবকে অশান্ত করে তোলাই জসবিন্দরের মূল উদ্দেশ্য ছিল। আগামী বছরে যে ক'টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যে অন্যতম পাক সীমান্তবর্তী পঞ্জাব। নির্বাচনমুখী এয়াজ্যগুলির মধ্যে এই প্রদেশেই একমাত্র ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস৷ তবে শুধু পঞ্জাব নয়। তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিষ্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল জসবিন্দরের। পাকিস্তানি অস্ত্রপাচারকারীদের সাহায্যে সে বিপুল পরিমানে অস্ত্রসস্ত্র, বিস্ফোরক পাচার করতে চেয়েছিল ভারতে৷ তাদের নিশানায় মুম্বই এবং দিল্লির মতো বড় বড় শহরগুলিও ছিল।