কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এলটিসির সুবিধা কিভাবে পাবেন! একনজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এলটিসির সুবিধা কিভাবে পাবেন! একনজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন উৎসবের আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছেন। করোনার আবহে প্রবলভাবে দেশের ভেঙে পড়া আর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য ঘোষিত দুটি স্কিম। এরমধ্যে এলটিসি বা ছুটির সময়ে ভ্রমণে ছাড় সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীরা কিভাবে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন , দেখে নেওয়া যাক।
সরকার ও এলটিসি বার্তা
গোটা দেশে চলেছে লকডাউন পর্ব। আর তারপর আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও, ক্রমেই বাড়ছে করোনার দাপট। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই বেড়াতে যেতে পারছেন না। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যেহেতু এই সময় ঘুরতে যেতে পারছেন না, তাই এই সময় তাঁরা যাতে সেই ভ্রমের খরচের টাকা থেকে পণ্য কেনাকাটা করতে পারেন উৎসবের মরশুমে , তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর এই জন্যই এলটিসির নতুন স্কিম এসেছে।
এলটিসি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভ্রমণের
জন্য
প্রতি
চার
বছর
অন্তর
এলটিসি
পান
সরকারি
কর্মীরা
।
এরমধ্যে
২
টি
ভাগ
রয়েছে।
একটি
হল,
ভারতের
যে
কোনও
প্রান্তে
বেড়াতে
যাওয়া,
আর
অন্যটি
হল
বাড়ি
যাওয়ার
জন্য
এলটিসি।
নির্দিষ্ট
বেতনের
সাপেক্ষে
এটি
দেওয়া
হয়।
সঙ্গে
থাকে
১০
দিনের
লিভ
এনক্যাশমেন্ট
(যার
মধ্যে
ডিএ
এবং
বেতন
থাকে)
দেওয়া
হয়।
সুবিধা পেতে গেল কী করতে হবে?
নির্মলা সীতারমন ঘোষিত এলটিসির সুবিধা পেতে গেলে গাড়িভাড়ার তিনগুণ দামের জিনিস কিনতে হবে। যে পণ্যগুলিতে ১২ শতাংশ জিএসটি থাকবে। অন্যদিকে, লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রেও থাকবে কিছু নিয়ম।
কিভাবে অর্থিক সুবিধা হাতে আসবে?
শুধু কেনাকাটাই নয়। সরকারের কাছে সেই কেনাকাটার খতিয়ান দেখাতে হবে সরকারি কর্মীকে। দিতে হবে জিএসটি ইনভয়েস। গোট কেনাকাটা ডিজিটাল প্লাটফর্মে হবে। তবে যে সমস্ত প্রাইভেট সংস্থায় এলটিসির সুবিধা রয়েছে,সেখানেও নির্দিষ্ট নিয়মে কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি নীতি মেনে এই পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে খবর।
উৎসবের মরশুমে বাকি সুবিধা
এছাড়াও সরকার এদিন স্পেশ্যাল ফেস্টিভ অ্যাডভান্স স্কিম চালু করল। যা সপ্তম পে কমিশন বাতিল করে দিয়েছিল। এর হাতে ধরে উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ১০ হাজার টাকা অগ্রিম পাবেন। তবে টাকা রুপে কার্ডে জমা পড়বে। এই টাকা ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করা আবশ্যিক। সবচেয়ে বেশি ১০ কিস্তিতে সুদ ছাড়া এই টাকা জমা দেওয়ার সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্র।
এলটিসির চাহিদা বাড়লে...
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি এলটিসির চাহিদা যদি বাড়ে তাহলে ২৮,০০০ কোটি টাকার অঙ্ক সরকারকে দিতে হবে। যদি কর্মীরা ক্যাশ ভাউচার বেছে নেন তাহলে ৫, ৬৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে। রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরাও এর সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে খরচ ১৯০০ কোটি টাকা।
শুভেন্দুর 'জনপ্রিয়তা’র আঁচ টের পেলেন পিকে! একেবারে 'থ’ অনুগামীর 'জবাব’ শুনে