রেশন ব্য়বস্থাতেও ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে, কিন্তু একটু অন্য়ভাবে
খাদ্য মন্ত্রক এবার রেশন ব্যবস্থাতেও রান্নার গ্যাসের ধাঁচে ভর্তুকির টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা। এক্ষেত্রে ভর্তুকির টাকা উপভোক্তাদের আগে থেকেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে
খাদ্য মন্ত্রক এবার রেশন ব্যবস্থাতেও রান্নার গ্যাসের ধাঁচে ভর্তুকির টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার কথা ভাবছে। এক্ষেত্রে ভর্তুকির টাকা উপভোক্তাদের আগে থেকেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে।
ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এমন যে কোনও রেশন দোকান থেকে রেশন নিতে পারবেন সেই গ্রাহক।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। সেখারকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৩ জন ট্রেনি আইএএস অফিসারকে সম্প্রতি রাঁচি পাঠিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রক। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তুকির টাকা কিংবা খাদ্যশস্য কোনও ভাবেই বেহাত হবে না। এমনটাই দাবি খাদ্যমন্ত্রকের।
সরকারি সূত্রে খবর, যদি কোনও গ্রাহক ওই ডিভাইস ব্যবহার করা রেশন দোকান থেকে রেশন তুলতে না পারেন, তবে পরের মাসে ভর্তুকির টাকা তিনি পাবেন না। এই ব্যবস্থায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ভর্তুকির টাকা যাতে অন্যত্র খরচ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করা যাবে।
রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে গ্রাহক, নির্দিষ্ট এলপিজি সরবরাহকারীর থেকে গ্যাসের সংযোগ নেন। কেন্দ্র ওই সরবরাহকারীর মাধ্যমে গ্রাহককে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কিন্তু রেশন ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি সম্ভব নয়। তাই গ্রাহককে এ ক্ষেত্রে রেশন দোকান থেকেই রেশন নিতে হবে এবং ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল গোটা বিষয়টির স্বচ্ছতাকে নিশ্চিৎ করবে।
দেশে এই মুহূর্তে তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়, পন্ডিচেরী এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে একটু অন্যভাবে খাদ্যশস্যের ভর্তুকির টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এক্ষেত্রে ভর্তুকির পুরো অর্থই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে, গ্রাহক তাঁর ইচ্ছেমত যে কোনও জায়গা থেকে খাদ্যশস্য কিনে নেন।
এই মুহূর্তে দেশের ৮১ কোটি চিহ্নিত গ্রাহক ভর্তুকির মাধ্যমে রেশন থেকে ১ -৩ টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য নেন। এর ফলে প্রতি বছর কেন্দ্রের খরচ হয় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা।