রাজস্থানে আফরাজুলের খুনের পিছনে রয়েছে শুধু লভ জিহাদ নয়, রয়েছে আরও অনেক তত্ত্ব
রাজস্থানে খুন হওয়া আফরাজুলের মৃত্যুর পিছনে শুধু লভ জিহাদ নয়, রয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব।
রাজস্থানে খুন হওয়া আফরাজুলের মৃত্যুর পিছনে শুধু লভ জিহাদ নয়, রয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। শম্ভুলাল রায়গড় নামে যে ব্যক্তি নৃশংসভাবে আফরাজুলকে খুন করে জ্বালিয়ে দিয়েছে, সে একটি নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ভালোবাসত বলে জানিয়েছে আততায়ীর ঘনিষ্টরাই। যদিও সেই মেয়েটির সঙ্গে আফরাজুলের সম্পর্ক ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেই মেয়েটি আবার এক মুসলমান ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ ছিল। আর সেটাই বোধহয় মেনে নিতে না পেরে ভিতরে ভিতরে ক্ষেপে গিয়েছিল সে। রাজস্থানের রায়গড় বস্তিতে থাকে শম্ভুলালের পরিবার। সেখানে খোঁজ নিয়ে আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে।
আগে সে মার্বেলের ব্যবসা করত। তবে নোট বাতিলের ঘোষণার পর সেই ব্যবসা লোপাট হয়। কর্মহীন হয়ে পড়ে শম্ভুলাল। লোকজনের কাছ থেকে মোট দেড় লক্ষ টাকা দেনাও হয়ে যায়। পাশাপাশি একদল বাঙালি শ্রমিকের হাতে মারও খায় সে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে এসে সে পালিয়ে আসা মেয়েটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
একদিকে কাজ না থাকা ও অন্যদিকে প্রেমের ভাবনা, এই দুটি ঘটনাই শেষদিকে মাথা খারাপ করে দিয়েছিল শম্ভুলালের। এমনটাই দাবি বন্ধুদের। এসব দেখে মুসলিম বিরোধী হয়ে উঠেছিল শম্ভুনাথ। লভ জিহাদের ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারত না। ফলে নিজের মেয়েকেও সবসময় সঙ্গে সঙ্গে রাখত সে। এবং যার শেষ পরিণতি এভাবে হল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। রাজস্থানের বাসিন্দা শম্ভুলাল মালদহ থেকে সেরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া আফরাজুলকে ডেকে এনে কুপিয়ে খুন করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। লভ জিহাদ করলে এমনই হবে, ভিডিওয় বারবার সেটাই বলে সে হুমকি দেয়। যদিও তাকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।