‘লাভ জিহাদ’ জের, মধ্যপ্রদেশে যুগলকে হেনস্থা হিন্দু নজরদারি বাহিনীর, বাড়ি পাঠানো হল তরুণীকে
ফের 'লাভ জিহাদ’–এর ছায়া পড়ল মধ্যপ্রদেশে। এক যুগল জব্বলপুরে তাঁদের আইনি বিয়ের নথিভুক্ত করাতে গিয়ে ২টি হিন্দু দলের সদস্যদের হাতে হেনস্থা হলেন সোমবার। জানা গিয়েছে, ২০ বছরের ওই যুবক এবং ১৮ বছরের ওই তরুণী জব্বলপুরে কালেক্টরের অফিসে আসেন তাঁদের আইনি বিয়ের জন্য নথিভুক্ত করাতে। সেই সময় হিন্দু ধর্মসেনার কিছু পুরুষ সদস্য এবং সনাতন বাহিনীর কিছু মহিলা তাঁদের জন্য সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন, কারোর থেকে এঁদের বিষয়ে জানতে পেরে এবং ওই যুগল সেখানে আসার পর তাঁদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়।

ওই তরুণী কালেক্টরের অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের জানান যে তিনি তাঁর পছন্দ মতো বিয়ে করছেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি সে মুসলিম। আমি তাকে ভালোবাসি এবং নিজের ইচ্ছাতেই তাকে বিয়ে করছি।’ ওই তরুণী এও জানান যে তাঁর ১৮ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে এবং পরবর্তী তিনমাসের মধ্যে তিনি তাঁর পরবর্তী জন্মদিন পালন করবেন। তবে ওই তরুণী জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবার এই বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানে না। হিন্দু বাহিনীর সদস্যদের অভিযোগ হিন্দু তরুণীকে নিয়ে পালাচ্ছিলেন ওই মুসলিম যুবক, কিন্তু তাঁরা তাঁদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ ওই যুগলকে সিআরপিসির ১৫১ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করে এবং তরুণীকে তাঁর মা–বাবার কাছে চলে যেতে বলা হয়। ওই যুবককে থানায় কিছু ঘণ্টা আটকে রাখার পর জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওমিটি পুলিশ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার শিবপ্রতাপ সিং বাঘেল জানিয়েছেন যে ওই যুবক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে অনুমান করে তাঁকে আটক করা হয়। জব্বলপুরের এসপি সিদ্ধার্থ বহুগুণা জানিয়েছেন যে তাঁরা একনও কোনও মামলা দায়ের করেননি কারণ তরুণীর মা এই মামলাটি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। হিন্দু ধর্মসেনার প্রধান যোগেশ আগরওয়াল বলেন, 'অভিভাবককে বলেছি যে তাঁদের মেয়েকে এত স্বাধীনতা দেওয়া উচিত নয়। এই মামলাকে জোর করে ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদ বলা হয়। ওই হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে ছিলেন মুসলিম যুবক।’ তিনি এও বলেন, 'রাজ্যে ধর্মান্তরের বিপক্ষে নতুন আইন আসায় সংগঠনের পক্ষ থেকে মেয়েটির মাকে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।’ যদিও আগরওয়াল দাবি করেন যে ওই মেয়েটির ধর্ম বদল হয়ে গিয়েছে এবং শীঘ্রই তাঁরা নিকাহ করতেন।
তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রীর দলবদলের জল্পনা! 'দুই দাদার অনুগামী’র পোস্টার অনুব্রত-গড়ে