সত্যিই কি বিকল্প পথের সন্ধান? করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগে এনসিইআরটি
সত্যিই কি বিকল্প পথের সন্ধান? করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগে এনসিইআরটি
তীব্র আর্থিক মন্দার মতোই মতো করোনা থাক্কায় জেরবার দেশের দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থা। মার্চের শেষভাগ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে বেশিরভাগ সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই। কিন্তু আদেও কি তাতে লাভবান হচ্ছেন সমস্ত পড়ুয়ারা ?
২৮% শিক্ষার্থীর রয়েছে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের
বর্তমানে দেশে অনলাইন শিক্ষার হালহকিকত জানতে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটিকে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সমীক্ষার আয়োজন করতে বলা হয়। ওই সমীক্ষাতেই উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে বর্তমানে অনলাইন শিক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুর্তবপূর্ণ উপকরণ গুলোই অপ্রতুল একটা বড় অংশের কাছে। বর্তমানে ২৮% শিক্ষার্থীর বিদ্যুতের অভাব রয়েছে। পাশাপশি ২৭ শতাংশ পড়ুার কাছে অনলাই শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেই।
অনলাইন শিক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
এনসিইআরটি তার রিপোর্টে পরিষ্কার বলছে, "শিক্ষার এই বিকল্প পদ্ধতিগুলি সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত মানের শেখার নিশ্চয়তা দেয় না।" এদিকে করোনাকালে শিক্ষাদানের পদ্ধতি নিয়ে বুধবার ‘স্টুডেন্টস লার্নিং এনহান্সমেন্ট গাইডলাইন' প্রকাশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে অনলাইন শিক্ষাপ্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, প্রত্যেক পড়ুয়ার বাড়িতে অনলাইন শিক্ষার জন্য যথাযথ ডিজিট্যাল ডিভাইসের অপ্রতুলতার কারণে গোটা প্রক্রিয়াটাই বাধার মুখে পড়ছে।
অর্ধেকের বেশি পড়ুয়া একাধিক বাধার সম্মূখীন হচ্ছে
এদিকে লকডাউন চলাকালীন এবং তার পরে দেশব্যাপী শিক্ষার হালহকিকত জানতে করা এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রায় দেশের অর্ধেকের বেশি বা প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়া কোনও না কোনও সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছেন। এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০-৩০% মানুষ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারে বেগ পাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ জানায় এটা ক্রমেই তাদের কাছে বোঝা হয়ে উঠছে।
কারা ছিলেন এই সমীক্ষক কমিটির সদস্য ?
এদিকে যে কমিটির তত্ত্বাবধানে এই সমীক্ষা চলে তাতে এনসিইআরটি, এনআইইপিএ, সিবিএসই, কেভিএস এবং এনভিএস-র বিভিন্ন উচ্চ পদমর্যাদার একাডেমিক এবং পাঠ্যক্রমিক বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। সমীক্ষার জন্য তারা প্রাথমিক পর্যায়ে কেভিএস, এনভিএস এবং সিবিএসই বোর্ডের আওতায় থাকা স্কুল গুলিকেই বেছে ছিলেন বলেও জানা যায়।
অমিত শাহের পর ফের করোনা থাবা মোদীর মন্ত্রিসভায়, আক্রান্ত জলশক্তি মন্ত্রী