মে নয়, লোকসভা ভোট হচ্ছে মার্চ-এপ্রিলেই?
পঞ্চদশ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। নিয়মানুযায়ী, তার আগে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। তাই অনুমান করা হয়েছিল, মে মাসে ভোট হবে। জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই ষোড়শ লোকসভা গঠিত হবে। কিন্তু, নানা ইস্যুতে বিরোধীদের পুনঃপুন আক্রমণে ইউপিএ সরকার এখন কোণঠাসা। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের মত, যত দিন যাবে, ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তত বাড়বে। ফলে, দেরি করে ভোট হলে তত আসন পাওয়া যাবে না, যতটা পাওয়া যেতে পারে নির্বাচন এগিয়ে আনলে। এই তত্ত্ব খাড়া করে তাঁরা এখন ভোট এগিয়ে আনার পক্ষপাতী।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, গতবারের মতো এবারও কয়েক দফায় ভোট গ্রহণ হবে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি হয়তো ভোটপর্ব চলবে। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের একদম শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে। মে মাসে শপথ নেবে নবনির্বাচিত সরকার।
এমনটা যে ঘটার সমূহ সম্ভাবনা, তা বোঝা গিয়েছে ভোট-অন অ্যাকাউন্ট পেশের সিদ্ধান্ত থেকে। যদি মে মাসে ভোট হত, তা হলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সরকার ভোট-অন অ্যাকাউন্ট পেশ করত সংসদে। ১৩-১৭ জানুয়ারি সময়সীমায় ভোট-অন অ্যাকাউন্ট পেশ হওয়ার অর্থ হল, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, ভোট-অন অ্যাকাউন্ট হল একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা যেখানে বিদায়ী সরকার আগামী কয়েক মাসের খরচ চালানোর জন্য সংসদের কাছে ব্যয়বরাদ্দ মঞ্জুরির অনুমতি চায়। নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে। যদিও সংসদ-বিযয়ক মন্ত্রী কমলনাথ দাবি করেছেন, লোকসভা ভোট যথারীতি মে মাসে হবে। ভোট এগোবে না।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৬ এপ্রিল থেকে ১৩ মে। ফল ঘোষিত হয়েছিল ১৬ মে।