লোকসভায় গায়ের জোরে পাশ তেলেঙ্গানা, ওয়াক আউট তৃণমূল কংগ্রেসের
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি তেলেঙ্গানা বিল নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল লোকসভা। ঘুষোঘুষি থেকে শুরু করে মরিচ স্প্রে ছড়ানো, কিছুই বাদ যায়নি। এর জেরে তেলেঙ্গানা-বিরোধী ১৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
এদিনও লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলেঙ্গানা ইস্যুতে হইচই শুরু হয়। বিকেল তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। ফের অধিবেশন শুরু হতেই জরুরি অবস্থাকে স্মরণ করিয়ে লোকসভা টিভি-র সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই নির্দেশ দেন খোদ স্পিকার মীরা কুমার। এর প্রতিবাদে লোকসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসে তৃণমূল কংগ্রেস।
যৌথ রাজধানী হায়দরাবাদ
দলীয় সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, "বিল নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হল। এর ফলে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়ল দেশে।" একই কথা বলেছেন সংযুক্ত জনতা দলের সাংসদ শরদ যাদব। তিনি বলেন, "গায়ের জোরে এভাবে কেউ কোনও রাজ্য ভাগ করে, সেটা দেখিনি। আরও খারাপ লেগেছে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ায়। এর প্রতিবাদে বেরিয়ে এসেছি আমরা।" বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি বলেন, "এভাবে বিল পাশ করা ঠিক হয়নি। টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ গণতন্ত্রের বিকৃতি ঘটানো। সেটা আজ করল কংগ্রেস।" তা হলে, কেন লোকসভায় বিজেপি প্রতিবাদ জানানোর পরিবর্তে কংগ্রেসকে সমর্থন করল, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি তিনি।
এদিন তেলেঙ্গানা বিল যখন পেশ করা হয়, তখন লোকসভার বাইরে জড়ো হয়েছিলেন ১৭ জন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। তখন বাইরে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
তেলেঙ্গানা বিল পাশ হওয়ার পর বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ লোকসভার বাইরে বলেন, "সবার মঙ্গল চিন্তা করেই তেলেঙ্গানা বিল পাশ হল। আজ যারা ক্ষুব্ধ, পরে তারা ঠিকটা বুঝতে পারবেন।" তিনি জানান, আপাতত হায়দরাবাদ দু'রাজ্যের যৌথ রাজধানী থাকবে। পরে সীমান্ধ্রের আলাদা রাজধানী গড়ে তোলা হবে।