নির্বাচনী দামামা বাজতেই 'বুকড' সমস্ত হেলিকপ্টার! বুকিংয়ে কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে জানেন কি
সবে প্রচার শুরু হয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের। এরই মধ্যে হাউজফুল নোটিস ঝুলছে যেসব কোম্পানির ছোট বিমান কিংবা হেলিকপ্টার আছে তাদের অফিসের বাইরে। সূত্রের খবর এমনটাই।
সবে প্রচার শুরু হয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের। এরই মধ্যে হাউজফুল নোটিস ঝুলছে যেসব কোম্পানির ছোট বিমান কিংবা হেলিকপ্টার আছে তাদের অফিসের বাইরে। সূত্রের খবর এমনটাই।
বিভিন্ন দলের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা সবসময়ই নির্বাচনের মতো ব্যস্ত সময়ে ছোট ছোট এলাকায় পৌঁছতে ছোট বিমান কিংবা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। যা কিনা ছোট জায়গাতেই ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এরমধ্যে হেলিকপ্টারই প্রথম পছন্দের। প্রতিঘন্টা ১০০ থেকে ১৪০ নটিক্যাল মাইল বেগে দু থেকে তিনহাজার ফুট ওপর দিয়ে যায় হেলিকপ্টারগুলি।
উন্নত দেশগুলির মতো আমাদের দেশে হেলিকপ্টার কিংবা ছোট বিমান সেরকমভাবে পাওয়া যায় না ভোটের আগে। রোটারি উইং সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ওয়েস্টার্ন চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন উদয় গেলি জানিয়েছেন, দেশে ২৭৫ টি নথিভুক্ত সিভিলিয়ন হেলিকপ্টার রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির চপার, কর্পোরেট, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট সেক্টরের হাতে থাকা চপারও এই হিসেবের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ টিকে বাদ দিয়ে বাকিগুলিকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
বিমানের ক্ষেত্রে দুটি কিংবা বেশি ইঞ্জিনের বিমানের চাহিদা রয়েছে এই নির্বাচনের সময়ে। যার মধ্যে রয়েছে পাইলট বিশিষ্ট পাঁচটি কিং এয়ার সি ৯০ এবং দুই পাইলট বিশিষ্ট আটটি কিং এয়ার বি ২০০-এর।
উড়ান বিশেষজ্ঞ প্রদীপ থাম্পির দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মতো অনেকেই ছোট বিমান কিংবা হেলিকপ্টার পছন্দ করেন না। তাঁরা সবসময়ই কাছের ভাল বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। নিরাপত্তার দিক থেকে যা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশে ইউরোকপ্টার, রবিনসন, বেল, সিকোরস্কির মতো কোম্পানিগুলির হাতে এক থেকে দুই ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার রয়েছে। যাতে পাইলটকে বাদ দিয়ে তিন থেকে ১১ জন বসতে পারেন। এইগুলিএ ২০১৯-এর নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি বুকড হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে এই নির্বাচনে বিজেপি চপারের বড় ব্যবহারকারী। যাঁরা ইতিমধ্যে চপারের ৫০ শতাংশ বুক করে ফেলেছে। বুকিং-এর একটা নিয়মও আছে। সাধারণ বাল্ক বুকিং হয়েছে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের জন্য। প্রতিদিন তিনঘন্টা করে চলবে এই শর্তে। প্রতিঘন্টায় চপারের খরচ ৭৫ হাজার থেকে ৩,৫০,০০০ টাকার মতো।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই চপার এবং ছোট বিমান ব্যবহার করা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে।