রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র কি পছন্দ করছে না দেশ! রাহুল-জ্যোতিরাদিত্যদের হারে বিরোধীদের কোন বার্তা জনতার
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এসে গেলে কি তা রাজতন্ত্রের শামিল হয়ে যায়! এই ভাবনাই কার্যত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে খানিকটা ভাবিয়েছে জনতাকে।
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এসে গেলে কি তা রাজতন্ত্রের শামিল হয়ে যায়! এই ভাবনাই কার্যত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে খানিকটা ভাবিয়েছে জনতাকে। বিশেষত বিজেপি সহ এনডিএর পরিবারতন্ত্র বিরোধী প্রচার যে মানুষের মনে দাগ কেটেছে , তা প্রমাণ করে দিয়েছে আমেঠি থেকে গুনা । আমেঠিতে গান্ধী বংশের একাধিপত্য কার্যত ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে, গুনা ,বারমেঢ়ও একই বার্তা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক নেতার সন্তানদের হার সপ্তদশ লোকসভা ভোটে বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
রাহুলের সাম্রাজ্য পতন
আমেঠি রাহুল সহ গান্ধীদের গড় বলে পরিচিত ছিল । কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সেই আমেঠির মাটিই কার্যত কংগ্রেসকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে ২০১৯ লোকসভা ভোটে। বিজেপি থেকে স্মৃতি ইরানি ধ্বংস করে দিয়েছেন গান্ধী-আবেগের দূর্গ। পাশাপাশি আমেঠির জনতাও সম্ভবত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ,গণতান্ত্রিক ভারতে পরিবারতন্ত্র মেনে রাজনৈতিক আবেগ কোনও কাজে লাগবে না।
গুনা থেকে বারমেঢ় একই ছবি
দেশের একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রচার চালানোর সময় বার বার বলে এসেছে , এদেশ পরিবারতন্ত্র মানে না। আর সেই হিসাবেই মধ্যপ্রদেশের গুনায় সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই প্রথমবার হেরে গেলেন। যে গুনা কেন্দ্রটি একটা সময় দাপটের সঙ্গে কংগ্রেস জিতে এসেছিল। এর আগে এই কেন্দ্র জ্যোতিরাদিত্যর বাবা মাধব রাওকে কখনও হারায়নি। অন্য়দিকে , কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজস্থানের বারমেঢ় থেকে লড়াই করছিলেন যশবন্ত সিং এর ছেলে মানবেন্দ্র। তিনিও এবার পরাজিত।
মিলিন্দ দেওরা থেকে শঙ্কররাও চভন
কংগ্রেসের মুরলী দেওরার ছেলে মিলিন্দ লড়ছিলেন মুম্বই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে , আরক মহারাষ্ট্রের আরও এক দাপুটে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চভনও নানদেদ কেন্দ্র থেকে হেরে যান। প্রসঙ্গত , কংগ্রেসের দাপুটে নেতা শঙ্কররাও চভনের ছেলে অশোকের এই হারও বিরোধীদের কড়া বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কুমারস্বামীর ছেলে থেকে অজিত পাওয়ারপ পুত্রের হাল কী?
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ছেলে নিখিলকে ১ লাখ ভোটে মান্ড্য় থেকে পরাজিত করে দেন নির্দল প্রার্থী। নিখিল কংগ্রেস জোটের শরিক জেডিএসর তরফে লড়ছিলেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের অজিত পাওয়ারের ছেলে পার্থেরও একই হাল হয়েছে মাভেল কেন্দ্র থেকে।