কমলনাথের সরকার ফেলতেই দেরিতে লকডাউন জারি মোদীর! সৌহার্দ্য ভুলে বিজেপিকে আক্রমণের পথে কংগ্রেস
করোনা রুখতে আগেই সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস। এর আগে সনিয়া মোদীকে চিঠি লিখে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপের নেওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র। এই লকডাউন কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যগুলিও।

করোনা ঠেকাতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি
দেশে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন। কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে।

সৌহার্দ্যর রাজনীতি ছেড়ে ফের আক্রমণের পথে কংগ্রস
তবে এবার সৌহার্দ্যর রাজনীতি ছেড়ে ফের আক্রমণের পথে হাঁটল কংগ্রস। এদিন গোয়া কংগ্রেসের তরফে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলা হয় যে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করতে দেরি করেছে বিজেপি। আর এর মূলে রয়েছে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের সরকার ফেলা। এর আগে কমলনাথ নিজেও এই অভিযোগ এনে বলেছিলেন যে, বিজেপির জন্যই দেশের এই পরিস্থিতি আজ।

মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক তরজা
করোনা ভাইরাস দশ দিনের জন্য মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা করে কমলনাথ সরকার। তবে কংগ্রেসের এই 'চালের' বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চলে যায় বিজেপি। এরপর মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালাজি ট্যান্ডনের নির্দেশে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দেয় কমলনাথের সরকার।

কমলনাথের সরকর পড়তেই দেশজুড়ে লকডাউন
এরপরই দেশজুড়ে করোনা নিয়ে তৎপরতা শুরু করে কেন্দ্র। ২২ মার্চ জনতা কার্ফু জারির পর ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল লকডাউন জারি করা হয়। পরবর্তীতে সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়। তবে সেই পরিস্থিতিতেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে দেশে। প্রতিদিনই প্রায় ১০০০ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন দেশে।

নতুন করে ৯৯১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণের হদিশ মিলেছে
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৯৯১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে দেশ জুড়ে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১৪৩৭৮-এ। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিন বিকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ আক্রান্তই মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের।