করোনা লকডাউন: কম দামে শ্রমিক পেতে এবার 'অন্য' বিভীষিকার পথে হাঁটতে চলেছে ভারত! দাবি বিশেষজ্ঞের
করোনা লকডাউন: কম দামে শ্রমিক পেতে এবার 'অন্য' বিভীষিকার দিকে যেতে চলেছে ভারত! দাবি বিশেষজ্ঞের
লকডাউন প্রথম ভারতে ঘোষিত হয় ২৪ মার্চ ২০২০ সালে। সেদিন , রাত ১২ টা থেকে গোটা দেশ এক লহমায় স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। হঠাৎ বাস, ট্রেন , বিমান সব বন্ধ হয়। আর কাজ হারানোর ভয়ে বহু মানুষ ঘরমুখী হন। পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরা শুরু হয়। দেশ দেখে 'পরিযায়ী শ্রমিক'দের করুণ ছবি। এবার সেই পরিযায়ী সমস্যাই রাক্ষস-রূপে গ্রাস করতে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতিকে। TISS এর এক অধ্যাপকের মতে এবার দেশ শিশুশ্রমের করুণ ছবি দেখতে পারে!
শিশুশ্রমের দিকে ভারত!
বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা নিজেরদের ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে যে রাজ্য তাঁরা ছাড়ছেন, সেই রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট নিপুণ কারিগর প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা কম খরচে মেটাতে হবে। আর এই সমস্ত কারণ মিলিয়েই কম খরচে শিশু শ্রমিকদের কাজে লাগানোর প্রবণতা দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা TISS এর অধ্যাপক রাহুল সাকপালের।
কারখানায় শিশুশ্রম
রাহুল সাকপালের দাবি, শিশুশ্রমিকদের কাজে লাগানোর প্রবণতা খুব সহজেই দেখতে পাবে ভারত। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই প্রবণতা ভারতের অর্থনীতিকে রাক্ষসরূপে গ্রাস করবে। যা সমূলে নিপাটিত না করলে খেসারত বহু যুগ ধরে দিতে হবে ১৩০ কোটির দেশকে।
অর্থমন্ত্রকের স্কিম কি আদৌ কাজে লাগবে?
লকডাউনে ধরাশায়ী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী মন্ত্রিসভা আত্মনির্ভর স্কিম আনে। সেই স্কিমের আওতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা হয়। তবে , TISS এর অধ্যাপকের মতে সেই অর্থ যতক্ষণ না পর্যন্ত গরিবের ঝুলিতে এসে পরছে , ততক্ষণ পর্যন্ত তার ব্যবহারিক দিক এক্কেবারে দুর্বল।
কেন শ্রমিকরা উপকৃত হবেন না?
বিশেষজ্ঞের মতে, ভারতে বহু ঠিকা শ্রমিকই নথিভুক্ত কোনও সংস্থার আওতায় কাজ করে না। বহুজনের মালিকই রেজিস্টার্ড সংস্থা চালান না, ফলে তা সমস্যা তৈরি করবে শ্রমিকদের জন্য। আর যে মালিক রেজিস্টার্ড নন, তাঁর আওতায় কর্মরত শ্রমিকরা সরকারি বরাদ্দ অর্থও সহজে পাবেন না।
কারা কারা এড়াবেন ট্রেন, আবেদন করে জানাল ভারতীয় রেল