লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় ভারতের কোন শিল্পক্ষেত্রে আশঙ্কার মেঘ! নয়া রিপোর্ট কী বলছে
লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় ভারতের কোন শিল্পক্ষেত্রে আশঙ্কার মেঘ! নয়া রিপোর্ট কী বলছে
৩ মে পর্যন্ত ঘোষিত হয়েছে দেশের লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি। এদিকে তার আগে থেকেই ২১ দিনের জন্য লকডাউন লাগু ছিল দেশে। করোনার সংক্রমণ দেশে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই মোদী সরকারের 'জান ভি, জাহান ভি' স্লোগান। অর্থাৎ প্রাণ বাঁচানেকেই অর্থনীতির মন্দা রক্ষার চেয়ে বেশি শ্রেয় মনে করেছে মোদী সরকার। এমন পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাসের লকডাউনে ভারতের একাধিক শিল্পক্ষেত্রে প্রবল প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন শিল্পক্ষেত্রে করোনার মারণ প্রভাব?
দেশের একাধিক শিল্পক্ষেত্রে করোনার মারণ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারমধ্যে এপ্রিলেরল লকডাউনে উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। এপ্রিলের লকডাউন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে অটোমোবাইল সেক্টরে। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞমহলের।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
পরিসংখ্যান বলছে, সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকটচারার্স এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চের তুলনায় যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি কমেছে। ২০১৯ সালে যা ছিল ২৯১৮৬১ ইউনিট, তা ২০২০ সালের মার্চে ১৪৩০৪১ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এবার এপ্রিলের লকডাউনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা।
কত শতাংশ কমেছে বিক্রি?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯ সালের থেকে ২০২০ সালের মার্চে ৫১ শতাংশ কমেছে গাড়ির বিক্রি। লকডাউনের জেরে আর্থিক পরিস্থিতি মানুষের খারাপ হলে ক্রয় ক্ষমতা কমার সম্ভবনা প্রবল। এর জেরে গাড়ির বিক্রিতে আরও কমতি হতে পারে। এছাড়াও পরিসংখ্যান বলছে, কমার্সিয়াল ভেহিক্যালস -এ ৮৮.৯৫ শতাংশ কমতি দেখা গিয়েছে বিক্রির ক্ষেত্রে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দফা নিয়ে আশঙ্কা
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারি বিজ্ঞপ্তি লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে প্রকাশিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কোন কোন কাজে ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। এদিকে, বিভিন্ন গাড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ থাকায় আশঙ্কার অশনি সংকতে আপাতত শিল্পক্ষেত্রের মাথায়।
খাদ্যশস্য থেকে ওষুধ সবকিছুর পর্যাপ্ত স্টক আছে, নয়া লকডাউনের ঘোষণার পরই আশ্বস্ত করলেন অমিত শাহ